আবাজিনো
জেনেরিক নাম
আবাজিন
প্রস্তুতকারক
গ্লোবাল ফার্মা লি.
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
মূল্যের বিবরণ
বর্তমান বাজার মূল্যের তথ্য
ভেরিয়েন্ট | একক মূল্য | পাতার মূল্য |
---|---|---|
abezino 150 mg tablet | ৯৫০.০০৳ | ৯,৫০০.০০৳ |
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
আবাজিনো ১৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট-এ আছে আবাজিন, যা এঙ্গিওটেনসিন II রিসেপ্টর ব্লকার (এআরবি) শ্রেণীর একটি ঔষধ। এটি উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) এবং হার্ট ফেইলিউরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি রক্তনালীগুলিকে শিথিল করে রক্তচাপ কমায় এবং হৃদপিণ্ডের রক্ত পাম্প করা সহজ করে তোলে।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
প্রাথমিক ডোজ সমন্বয়ের প্রয়োজন হয় না, তবে কিডনি ফাংশন পর্যবেক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
কিডনি সমস্যা
তীব্র কিডনি সমস্যায় (CrCl <৩০ মি.লি./মিনিট), কম ডোজ (যেমন প্রতিদিন একবার ৭৫ মি.গ্রা.) দিয়ে শুরু করুন এবং নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। ডায়ালাইসিস করানো রোগীদের জন্য এটি সুপারিশ করা হয় না।
প্রাপ্তবয়স্ক
উচ্চ রক্তচাপ: প্রাথমিক ডোজ প্রতিদিন একবার ১৫০ মি.গ্রা., প্রয়োজনে প্রতিদিন ৩০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। হার্ট ফেইলিউর: প্রাথমিক ডোজ প্রতিদিন একবার ৭৫ মি.গ্রা., সহ্যক্ষমতা অনুযায়ী ১৫০ মি.গ্রা. বা ৩০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
আবাজিনো ট্যাবলেটগুলি প্রতিদিন প্রায় একই সময়ে জল দিয়ে, খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়া, সম্পূর্ণ গিলে খেতে হবে।
কার্যপ্রণালী
আবাজিন নির্বাচিতভাবে এঙ্গিওটেনসিন II-কে AT1 রিসেপ্টরের সাথে আবদ্ধ হতে বাধা দেয়, যা রক্তনালীর মসৃণ পেশী এবং অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি সহ অনেক টিস্যুতে পাওয়া যায়। এই বাধা এঙ্গিওটেনসিন II এর রক্তনালী সংকুচিত করা এবং অ্যালডোস্টেরন নিঃসরণের প্রভাবকে দমন করে, যার ফলে রক্তনালী প্রসারিত হয়, রক্তচাপ কমে এবং সোডিয়াম ও জল ধরে রাখার প্রবণতা হ্রাস পায়।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
মৌখিকভাবে সেবনের পর দ্রুত শোষিত হয়, প্লাজমাতে সর্বোচ্চ ঘনত্ব ১-২ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছায়। জৈব উপলব্ধতা প্রায় ৩০-৪০%।
নিঃসরণ
প্রধানত মল (৮০%) এবং প্রস্রাব (২০%) এর মাধ্যমে অপরিবর্তিত ঔষধ হিসাবে নির্গত হয়।
হাফ-লাইফ
দূরীকরণ হাফ-লাইফ প্রায় ৬-৯ ঘন্টা।
মেটাবলিজম
অল্প পরিমাণে হেপাটিক মেটাবলিজম হয়, প্রধানত নন-এনজাইমেটিক ক্লিভেজের মাধ্যমে।
কার্য শুরু
রক্তচাপ কমানোর প্রভাব ২ ঘন্টার মধ্যে শুরু হয়, সর্বোচ্চ প্রভাব ২-৪ ঘন্টার মধ্যে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- আবাজিন বা এর যেকোনো উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা
- গর্ভাবস্থা (দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিক)
- ডায়াবেটিস বা কিডনি সমস্যায় (জিএফআর <৬০ মি.লি./মিনিট/১.৭৩ মি²) অ্যালিস্কিরেনের সাথে একসাথে ব্যবহার
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
লিথিয়াম
রক্তে লিথিয়ামের ঘনত্ব বৃদ্ধি এবং বিষক্রিয়া হতে পারে।
অ্যালিস্কিরেন
ডায়াবেটিস বা কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের হাইপারক্যালেমিয়া, হাইপোটেনশন এবং কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে একসাথে ব্যবহার নিষিদ্ধ।
পটাসিয়াম-সংরক্ষক মূত্রবর্ধক/পটাসিয়াম সাপ্লিমেন্টস
হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে (যেমন: স্পাইরোনোল্যাকটোন, অ্যামিলোরিড)।
এনএসএআইডি (নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস)
রক্তচাপ কমানোর প্রভাব কমাতে পারে এবং কিডনির কার্যকারিতা অবনতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে বয়স্ক বা পানিশূন্য রোগীদের ক্ষেত্রে।
সংরক্ষণ
৩০°সে তাপমাত্রার নিচে শুষ্ক স্থানে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
মানুষের অতিরিক্ত ডোজ সম্পর্কে সীমিত তথ্য উপলব্ধ। অতিরিক্ত ডোজের সবচেয়ে সম্ভাব্য লক্ষণগুলি হল হাইপোটেনশন এবং টাকিকার্ডিয়া; প্যারাসিমপ্যাথেটিক উদ্দীপনা থেকে ব্র্যাডিকার্ডিয়া হতে পারে। চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক এবং সহায়ক হওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আবাজিনো নিষিদ্ধ, কারণ এতে ভ্রূণের বিষক্রিয়া এবং মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে এটি সুপারিশ করা হয় না। আবাজিন মানব দুধে নিঃসৃত হয় কিনা তা অজানা, তাই স্তন্যদানকারী মাকে এটি দিলে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- আবাজিন বা এর যেকোনো উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা
- গর্ভাবস্থা (দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিক)
- ডায়াবেটিস বা কিডনি সমস্যায় (জিএফআর <৬০ মি.লি./মিনিট/১.৭৩ মি²) অ্যালিস্কিরেনের সাথে একসাথে ব্যবহার
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
লিথিয়াম
রক্তে লিথিয়ামের ঘনত্ব বৃদ্ধি এবং বিষক্রিয়া হতে পারে।
অ্যালিস্কিরেন
ডায়াবেটিস বা কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের হাইপারক্যালেমিয়া, হাইপোটেনশন এবং কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে একসাথে ব্যবহার নিষিদ্ধ।
পটাসিয়াম-সংরক্ষক মূত্রবর্ধক/পটাসিয়াম সাপ্লিমেন্টস
হাইপারক্যালেমিয়া হতে পারে (যেমন: স্পাইরোনোল্যাকটোন, অ্যামিলোরিড)।
এনএসএআইডি (নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস)
রক্তচাপ কমানোর প্রভাব কমাতে পারে এবং কিডনির কার্যকারিতা অবনতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে, বিশেষ করে বয়স্ক বা পানিশূন্য রোগীদের ক্ষেত্রে।
সংরক্ষণ
৩০°সে তাপমাত্রার নিচে শুষ্ক স্থানে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
মানুষের অতিরিক্ত ডোজ সম্পর্কে সীমিত তথ্য উপলব্ধ। অতিরিক্ত ডোজের সবচেয়ে সম্ভাব্য লক্ষণগুলি হল হাইপোটেনশন এবং টাকিকার্ডিয়া; প্যারাসিমপ্যাথেটিক উদ্দীপনা থেকে ব্র্যাডিকার্ডিয়া হতে পারে। চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক এবং সহায়ক হওয়া উচিত।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আবাজিনো নিষিদ্ধ, কারণ এতে ভ্রূণের বিষক্রিয়া এবং মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। প্রথম ত্রৈমাসিকে এটি সুপারিশ করা হয় না। আবাজিন মানব দুধে নিঃসৃত হয় কিনা তা অজানা, তাই স্তন্যদানকারী মাকে এটি দিলে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
উৎপাদনের তারিখ থেকে ২৪ মাস
প্রাপ্যতা
সারা দেশের সকল ফার্মেসিতে উপলব্ধ
অনুমোদনের অবস্থা
বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত
পেটেন্ট অবস্থা
পেটেন্ট প্রক্রিয়াধীন
ক্লিনিকাল ট্রায়াল
ব্যাপক তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলিতে আবাজিনোর উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট ফেইলিউর রোগীদের কার্ডিওভাসকুলার ঘটনা কমাতে কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। আরও পোস্ট-মার্কেটিং পর্যবেক্ষণ চলছে।
ল্যাব মনিটরিং
- রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা (বিশেষ করে কিডনি সমস্যাযুক্ত বা পটাসিয়াম-সংরক্ষক মূত্রবর্ধক গ্রহণকারী রোগীদের ক্ষেত্রে)
- কিডনির কার্যকারিতা (বিইউএন এবং ক্রিয়েটিনিন)
ডাক্তারের নোট
- লক্ষণবিহীন থাকলেও চিকিৎসায় লেগে থাকার উপর জোর দিন।
- হাইপারক্যালেমিয়া এবং হাইপোটেনশনের লক্ষণ সম্পর্কে রোগীদের পরামর্শ দিন।
- এনএসএআইডি এবং পটাসিয়াম-সংরক্ষক মূত্রবর্ধকগুলির সাথে একসাথে ব্যবহারে সতর্কতার পরামর্শ দিন।
রোগীর নির্দেশিকা
- আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করুন।
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আবাজিনো গ্রহণ বন্ধ করবেন না, এমনকি যদি আপনি ভালো অনুভব করেন।
- যেকোনো অস্বাভাবিক লক্ষণ, বিশেষ করে মুখ, ঠোঁট বা জিহ্বার ফোলাভাব অবিলম্বে জানান।
মিসড ডোজের পরামর্শ
যদি আপনি একটি ডোজ নিতে ভুলে যান, মনে পড়ার সাথে সাথে তা গ্রহণ করুন। যদি আপনার পরবর্তী ডোজের প্রায় সময় হয়ে যায়, তাহলে ভুলে যাওয়া ডোজটি বাদ দিন এবং আপনার নিয়মিত ডোজের সময়সূচী চালিয়ে যান। একটি ভুলে যাওয়া ডোজের জন্য দ্বিগুণ ডোজ গ্রহণ করবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
আবাজিনো মাথা ঘোরা বা হালকা মাথা অনুভব করাতে পারে, বিশেষ করে চিকিৎসার শুরুতে বা ডোজ বাড়ানোর সময়। রোগীদের পরামর্শ দেওয়া উচিত যে তারা গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি চালানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করবেন যতক্ষণ না তারা বুঝতে পারেন আবাজিনো তাদের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- কম সোডিয়ামযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ করুন।
- ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।