এয়ারওয়ে

ক্লিনিকাল ট্রায়াল

বিভিন্ন বয়সের রোগীদের মধ্যে অ্যাজমার প্রতিরোধ ও দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসায় এবং অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের লক্ষণ উপশমে মন্টেলুকাস্টের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালিত হয়েছে। গবেষণায় ব্যায়াম-প্ররোচিত ব্রঙ্কোকনস্ট্রিকশন প্রতিরোধে এর ভূমিকাও নিশ্চিত করা হয়েছে।

ল্যাব মনিটরিং

• মন্টেলুকাস্টের জন্য কোনো নির্দিষ্ট রুটিন ল্যাব পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন নেই। পূর্ব-বিদ্যমান যকৃতের সমস্যাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যকৃতের কার্যকারিতা পরীক্ষা বিবেচনা করা যেতে পারে।

ডাক্তারের নোট

• রোগীদের বোঝান যে এয়ারওয়ে ১০ মি.গ্রা. দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কন্ট্রোলার ওষুধ, তীব্র আক্রমণের জন্য রেসকিউ ওষুধ নয়।
• রোগীদের সম্ভাব্য নিউরোসাইকিয়াট্রিক ঘটনা সম্পর্কে পরামর্শ দিন এবং তাদের অবিলম্বে কোনো আচরণগত বা মেজাজের পরিবর্তন রিপোর্ট করতে বলুন।
• সর্বোত্তম থেরাপিউটিক সুবিধা এবং অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ বা রাইনাইটিসের লক্ষণগুলির ধারাবাহিক উপশম নিশ্চিত করার জন্য প্রতিদিন ডোজ গ্রহণ (বিশেষ করে সন্ধ্যায়) করার উপর জোর দিন।

রোগীর নির্দেশিকা

• হঠাৎ, তীব্র অ্যাজমা আক্রমণের জন্য এয়ারওয়ে ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট ব্যবহার করবেন না। এই ধরনের পরিস্থিতিতে সবসময় আপনার রেসকিউ ইনহেলার সাথে রাখুন।
• যদি আপনি ভালো বোধ করেন তবুও নিয়মিত ওষুধ সেবন চালিয়ে যান, কারণ এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী নিয়ন্ত্রণের ওষুধ।
• যদি আপনি কোনো মানসিক লক্ষণ (যেমন: অস্থিরতা, বিষণ্ণতা, আত্মহত্যার চিন্তা, দুঃস্বপ্ন) অনুভব করেন তবে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারকে জানান।
• ডাক্তারের সুনির্দিষ্ট পরামর্শ ছাড়া অ্যাজমার অন্য ওষুধ বন্ধ করবেন না।

মিসড ডোজের পরামর্শ

যদি একটি ডোজ বাদ পড়ে, তবে পরবর্তী ডোজটি নিয়মিত সময়ে নিন। বাদ পড়া ডোজের জন্য দ্বিগুণ ডোজ নেবেন না।

গাড়ি চালানোর সতর্কতা

এয়ারওয়ে ১০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট কিছু ব্যক্তির মাথা ঘোরা বা তন্দ্রাচ্ছন্নতা সৃষ্টি করতে পারে। রোগীরা গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি পরিচালনার সময় সতর্ক থাকবেন যতক্ষণ না তারা জানেন যে এই ওষুধ তাদের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলে।

জীবনযাত্রার পরামর্শ

• অ্যাজমা এবং অ্যালার্জির কারণগুলি (যেমন: পরাগ, ধুলো মাইট, পোষা প্রাণীর লোম, ছত্রাক) চিহ্নিত করুন এবং এড়িয়ে চলুন।
• নিয়মিত ব্যায়াম (যদি আপনার অবস্থার দ্বারা অনুমোদিত হয়) এবং সুষম খাদ্য সহ একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখুন।
• যদি বাতাসের কণার প্রতি অ্যালার্জি থাকে তবে বাড়িতে একটি এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহারের কথা বিবেচনা করুন।