অ্যামোটিড
জেনেরিক নাম
অ্যামোক্সিসিলিন
প্রস্তুতকারক
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
মূল্যের বিবরণ
বর্তমান বাজার মূল্যের তথ্য
ভেরিয়েন্ট | একক মূল্য | পাতার মূল্য |
---|---|---|
amotid 500 mg capsule | ৭.৫০৳ | ৭৫.০০৳ |
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অ্যামোটিড ৫০০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল হল একটি পেনিসিলিন শ্রেণির অ্যান্টিবায়োটিক, যা শরীরের বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ যেমন শ্বাসনালীর সংক্রমণ, মূত্রনালীর সংক্রমণ, ত্বকের সংক্রমণ এবং দাঁতের সংক্রমণ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই, তবে কিডনির কার্যকারিতা বিবেচনা করে ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে।
কিডনি সমস্যা
ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স <৩০ মি.লি./মিনিট হলে ডোজ কমাতে হবে বা ডোজের বিরতি বাড়াতে হবে।
প্রাপ্তবয়স্ক
সাধারণত ২৫০-৫০০ মি.গ্রা. প্রতি ৮ ঘন্টা অন্তর অথবা ৫০০-৮৭৫ মি.গ্রা. প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর, সংক্রমণের তীব্রতা অনুযায়ী। সর্বোচ্চ দৈনিক ডোজ ৪.৫ গ্রাম।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
খাবারের সাথে বা খাবার ছাড়া মুখে সেবন করুন। পুরো ক্যাপসুলটি জল দিয়ে গিলে ফেলুন, ভাঙবেন না বা চিবিয়ে খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কোর্স সম্পূর্ণ করুন।
কার্যপ্রণালী
অ্যামোক্সিসিলিন ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর তৈরিতে বাধা দিয়ে কাজ করে। এটি ব্যাকটেরিয়ার পেপটিডোগ্লাইকান সংশ্লেষণকে ব্যাহত করে, যার ফলে ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ফেটে যায়, অবশেষে ব্যাকটেরিয়া মারা যায়।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
অ্যামোক্সিসিলিন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট থেকে দ্রুত এবং ভালোভাবে শোষিত হয়। খাদ্যের উপস্থিতি এর শোষণকে প্রভাবিত করে না।
নিঃসরণ
প্রধানত মূত্রের মাধ্যমে অপরিবর্তিত অবস্থায় এবং সামান্য পরিমাণে পিত্তের মাধ্যমে।
হাফ-লাইফ
১-১.৫ ঘন্টা
মেটাবলিজম
লিভারে আংশিকভাবে নিষ্ক্রিয় মেটাবোলাইটে রূপান্তরিত হয় (যেমন: পেনিসিলয়িক অ্যাসিড)।
কার্য শুরু
৩০-৬০ মিনিট
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- পেনিসিলিন বা অন্য কোনো বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিকে পরিচিত অ্যালার্জি
- সংক্রামক মোনোনucleosis
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
ওয়ারফারিন
ওয়ারফারিনের অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট প্রভাব বাড়াতে পারে, রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
অ্যালোপিউরিনল
অ্যালোপিউরিনলের সাথে অ্যামোক্সিসিলিন সেবনে ত্বকে ফুসকুড়ির ঝুঁকি বাড়তে পারে।
মেথোট্রেক্সেট
মেথোট্রেক্সেটের নিঃসরণ কমাতে পারে, এর বিষাক্ততা বাড়ায়।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
কিছু ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের কার্যকারিতা কমাতে পারে।
সংরক্ষণ
২৫°C এর নিচে শুকনো ও ঠাণ্ডা স্থানে আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণ (যেমন: বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া) দেখা দিতে পারে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে খিঁচুনি হতে পারে। চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক এবং সহায়ক। প্রয়োজনে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং হেমোডায়ালাইসিস করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের জন্য সাধারণত নিরাপদ বলে বিবেচিত হয় (গর্ভাবস্থা ক্যাটাগরি বি)। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ এটি স্তনদুধে প্রবেশ করতে পারে। ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- পেনিসিলিন বা অন্য কোনো বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিকে পরিচিত অ্যালার্জি
- সংক্রামক মোনোনucleosis
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
ওয়ারফারিন
ওয়ারফারিনের অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট প্রভাব বাড়াতে পারে, রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
অ্যালোপিউরিনল
অ্যালোপিউরিনলের সাথে অ্যামোক্সিসিলিন সেবনে ত্বকে ফুসকুড়ির ঝুঁকি বাড়তে পারে।
মেথোট্রেক্সেট
মেথোট্রেক্সেটের নিঃসরণ কমাতে পারে, এর বিষাক্ততা বাড়ায়।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল
কিছু ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ পিলের কার্যকারিতা কমাতে পারে।
সংরক্ষণ
২৫°C এর নিচে শুকনো ও ঠাণ্ডা স্থানে আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল লক্ষণ (যেমন: বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া) দেখা দিতে পারে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে খিঁচুনি হতে পারে। চিকিৎসা লক্ষণভিত্তিক এবং সহায়ক। প্রয়োজনে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং হেমোডায়ালাইসিস করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থায় ব্যবহারের জন্য সাধারণত নিরাপদ বলে বিবেচিত হয় (গর্ভাবস্থা ক্যাটাগরি বি)। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, কারণ এটি স্তনদুধে প্রবেশ করতে পারে। ব্যবহারের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
২-৩ বছর
প্রাপ্যতা
ফার্মেসি, হাসপাতাল
অনুমোদনের অবস্থা
প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা (যেমন: এফডিএ, ডিজিডিএ) দ্বারা অনুমোদিত
পেটেন্ট অবস্থা
জেনারেটিক উপলব্ধ, মূল পেটেন্ট মেয়াদোত্তীর্ণ
WHO অত্যাবশ্যক ওষুধ
হ্যাঁক্লিনিকাল ট্রায়াল
অ্যামোক্সিসিলিন একটি সুপ্রতিষ্ঠিত অ্যান্টিবায়োটিক এবং এর কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত অসংখ্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও গবেষণা রয়েছে।
ল্যাব মনিটরিং
- দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় কিডনির কার্যকারিতা (ক্রিয়েটিনিন)
- রক্তের সম্পূর্ণ গণনা (CBC)
ডাক্তারের নোট
- রোগীকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে অবহিত করুন।
- যেকোনো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ার জন্য সতর্ক থাকুন, বিশেষ করে পেনিসিলিন অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে।
- কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ডোজ সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে।
রোগীর নির্দেশিকা
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সম্পূর্ণ কোর্সটি শেষ করুন, এমনকি সুস্থ বোধ করলেও।
- অন্য কাউকে আপনার ওষুধ দেবেন না।
- অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে ডাক্তারকে জানান।
- পেটের সমস্যা কমাতে খাবারের সাথে নেওয়া যেতে পারে।
মিসড ডোজের পরামর্শ
যদি একটি ডোজ নিতে ভুলে যান, তবে মনে পড়ার সাথে সাথে তা নিয়ে নিন। তবে যদি পরবর্তী ডোজের সময় প্রায় হয়ে যায়, তবে মিস করা ডোজটি বাদ দিন এবং আপনার নিয়মিত ডোজের সময়সূচী অনুসরণ করুন। একসাথে দুটি ডোজ নেবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
সাধারণত গাড়ি চালানো বা ভারী যন্ত্রপাতি পরিচালনায় অ্যামোক্সিসিলিন কোনো প্রভাব ফেলে না। তবে, কিছু বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন মাথা ঘোরা বা খিঁচুনি অনুভব করলে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- পর্যাপ্ত জল পান করুন।
- ওষুধের কোর্স চলাকালীন ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন।
- অ্যান্টিবায়োটিকের অযথা ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।
অ্যামোটিড ব্র্যান্ডের অন্যান্য ওষুধ
একই ব্র্যান্ড নামের অধীনে উপলব্ধ অন্যান্য ওষুধ