অ্যারাইড
জেনেরিক নাম
অ্যারিপিপ্রাজল
প্রস্তুতকারক
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
মূল্যের বিবরণ
বর্তমান বাজার মূল্যের তথ্য
ভেরিয়েন্ট | একক মূল্য | পাতার মূল্য |
---|---|---|
aride 50 mg tablet | ২০.০০৳ | ২০০.০০৳ |
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
অ্যারিপিপ্রাজল একটি অ্যাটিপিক্যাল অ্যান্টিসাইকোটিক ঔষধ যা প্রধানত সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার I ডিসঅর্ডার এবং বিষণ্ণতার জন্য অতিরিক্ত চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট কিছু প্রাকৃতিক পদার্থের (নিউরোট্রান্সমিটার) ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। অ্যারাইড ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট নির্দিষ্ট রোগীর প্রয়োজন বা রক্ষণাবেক্ষণ থেরাপির জন্য একটি উচ্চ শক্তির ফর্মুলেশন।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রতি বর্ধিত সংবেদনশীলতা পর্যবেক্ষণ করে ধীরে ধীরে ডোজ বাড়ানো সহ কম প্রাথমিক ডোজ (যেমন: ৫-১০ মি.গ্রা./দিন) সুপারিশ করা হয়।
কিডনি সমস্যা
সাধারণত ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন হয় না।
প্রাপ্তবয়স্ক
সিজোফ্রেনিয়ার জন্য, সাধারণত লক্ষ্যমাত্রা ডোজ প্রতিদিন ১০-৩০ মি.গ্রা.। বাইপোলার ম্যানিয়ার জন্য, একক থেরাপি হিসাবে প্রতিদিন ১৫ মি.গ্রা.। অ্যাডজাঙ্কটিভ MDD এর জন্য, প্রতিদিন ২-১৫ মি.গ্রা.। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু প্রতিরোধী ক্ষেত্রে বা নির্দিষ্ট চিকিৎসাপদ্ধতিতে ৫০ মি.গ্রা. ডোজ ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে এটি সাধারণত প্রাথমিক প্রস্তাবিত ডোজের চেয়ে বেশি।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
অ্যারাইড ৫০ মি.গ্রা. ট্যাবলেটটি প্রতিদিন একবার, খাবার সহ বা খাবার ছাড়া মৌখিকভাবে সেবন করুন। ট্যাবলেটটি পানি দিয়ে সম্পূর্ণ গিলে ফেলুন; এটি চূর্ণ, চিবানো বা ভাঙা যাবে না।
কার্যপ্রণালী
অ্যারিপিপ্রাজল-এর কার্যপ্রণালী D2 এবং 5-HT1A রিসেপ্টরগুলিতে আংশিক উদ্দীপনা এবং 5-HT2A রিসেপ্টরগুলিতে বিরোধীতার মাধ্যমে কাজ করে বলে মনে করা হয়। এই অনন্য ফার্মাকোলজিক্যাল প্রোফাইল ঐতিহ্যবাহী অ্যান্টিসাইকোটিকগুলির তুলনায় নির্দিষ্ট কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কম প্রবণতা সহ এর মেজাজ স্থিতিশীলকারী এবং অ্যান্টিসাইকোটিক প্রভাবগুলিতে অবদান রাখে।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
মৌখিকভাবে ভালোভাবে শোষিত হয়, সাধারণত ৩-৫ ঘন্টার মধ্যে প্লাজমাতে সর্বোচ্চ ঘনত্বে পৌঁছায়। পরম জৈব উপলভ্যতা ৮৭%।
নিঃসরণ
মল (৫৫%) এবং প্রস্রাব (২৫%) এর মাধ্যমে নিঃসৃত হয়।
হাফ-লাইফ
অ্যারিপিপ্রাজলের বিলুপ্তির হাফ-লাইফ প্রায় ৭৫ ঘন্টা, এবং এর সক্রিয় মেটাবোলাইট, ডিহাইড্রোহাইড্রো-অ্যারিপিপ্রাজলের হাফ-লাইফ প্রায় ৯৪ ঘন্টা।
মেটাবলিজম
প্রধানত লিভারের এনজাইম CYP2D6 এবং CYP3A4 দ্বারা মেটাবোলাইজ হয়।
কার্য শুরু
থেরাপিউটিক প্রভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পেতে কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। তীব্র উত্তেজনা ইনজেকশনের মাধ্যমে দ্রুত সাড়া দিতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- অ্যারিপিপ্রাজল বা ফর্মুলেশনের যেকোনো উপাদানের প্রতি পরিচিত অতিসংবেদনশীলতা
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
CYP3A4 ইনডুসার (যেমন: কার্বামাজেপিন, রিফাম্পিন, ফেনাইটয়েন)
অ্যারিপিপ্রাজলের মাত্রা কমাতে পারে; অ্যারিপিপ্রাজলের ডোজ বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
সিএনএস ডিপ্রেসেন্ট (যেমন: অ্যালকোহল, বেনজোডিয়াজেপাইন)
সহবর্তী ব্যবহারে সিএনএস ডিপ্রেসিভ প্রভাব বাড়াতে পারে।
CYP2D6 ইনহিবিটর (যেমন: ফ্লুওক্সেটিন, প্যারোক্সেটিন, কুইনিডিন)
অ্যারিপিপ্রাজলের মাত্রা বাড়াতে পারে; অ্যারিপিপ্রাজলের ডোজ কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।
CYP3A4 ইনহিবিটর (যেমন: কেটোকোনাজোল, ইট্রাকোনাজোল, ক্লারিথ্রোমাইসিন)
অ্যারিপিপ্রাজলের মাত্রা বাড়াতে পারে; অ্যারিপিপ্রাজলের ডোজ কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।
সংরক্ষণ
৩০°সেলসিয়াস এর নিচে শুকনো স্থানে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রার লক্ষণগুলির মধ্যে ঘুম ঘুম ভাব, বমি, ট্যাকিকার্ডিয়া এবং সম্ভাব্য এক্সট্রাপিরামিডাল লক্ষণ বা খিঁচুনি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ব্যবস্থাপনা সহায়ক হওয়া উচিত, যার মধ্যে বায়ুচলাচল ব্যবস্থাপনা, অক্সিজেনেশন, ভেন্টিলেশন এবং কার্ডিওভাসকুলার পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত। গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং অ্যাক্টিভেটেড চারকোল বিবেচনা করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থার ক্যাটাগরি সি। গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করা উচিত যখন সম্ভাব্য সুবিধা ভ্রূণের সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে বেশি হয়। গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধের সংস্পর্শে আসা নবজাতকদের এক্সট্রাপিরামিডাল এবং/অথবা উইথড্রয়াল লক্ষণগুলির ঝুঁকি থাকে। অ্যারিপিপ্রাজল মানব দুধে নিঃসৃত হয়; মহিলাদের চিকিৎসাকালীন স্তন্যপান না করানোর পরামর্শ দেওয়া উচিত।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- অ্যারিপিপ্রাজল বা ফর্মুলেশনের যেকোনো উপাদানের প্রতি পরিচিত অতিসংবেদনশীলতা
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
CYP3A4 ইনডুসার (যেমন: কার্বামাজেপিন, রিফাম্পিন, ফেনাইটয়েন)
অ্যারিপিপ্রাজলের মাত্রা কমাতে পারে; অ্যারিপিপ্রাজলের ডোজ বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।
সিএনএস ডিপ্রেসেন্ট (যেমন: অ্যালকোহল, বেনজোডিয়াজেপাইন)
সহবর্তী ব্যবহারে সিএনএস ডিপ্রেসিভ প্রভাব বাড়াতে পারে।
CYP2D6 ইনহিবিটর (যেমন: ফ্লুওক্সেটিন, প্যারোক্সেটিন, কুইনিডিন)
অ্যারিপিপ্রাজলের মাত্রা বাড়াতে পারে; অ্যারিপিপ্রাজলের ডোজ কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।
CYP3A4 ইনহিবিটর (যেমন: কেটোকোনাজোল, ইট্রাকোনাজোল, ক্লারিথ্রোমাইসিন)
অ্যারিপিপ্রাজলের মাত্রা বাড়াতে পারে; অ্যারিপিপ্রাজলের ডোজ কমানোর প্রয়োজন হতে পারে।
সংরক্ষণ
৩০°সেলসিয়াস এর নিচে শুকনো স্থানে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রার লক্ষণগুলির মধ্যে ঘুম ঘুম ভাব, বমি, ট্যাকিকার্ডিয়া এবং সম্ভাব্য এক্সট্রাপিরামিডাল লক্ষণ বা খিঁচুনি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ব্যবস্থাপনা সহায়ক হওয়া উচিত, যার মধ্যে বায়ুচলাচল ব্যবস্থাপনা, অক্সিজেনেশন, ভেন্টিলেশন এবং কার্ডিওভাসকুলার পর্যবেক্ষণ অন্তর্ভুক্ত। গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং অ্যাক্টিভেটেড চারকোল বিবেচনা করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থার ক্যাটাগরি সি। গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করা উচিত যখন সম্ভাব্য সুবিধা ভ্রূণের সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে বেশি হয়। গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধের সংস্পর্শে আসা নবজাতকদের এক্সট্রাপিরামিডাল এবং/অথবা উইথড্রয়াল লক্ষণগুলির ঝুঁকি থাকে। অ্যারিপিপ্রাজল মানব দুধে নিঃসৃত হয়; মহিলাদের চিকিৎসাকালীন স্তন্যপান না করানোর পরামর্শ দেওয়া উচিত।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
সাধারণত উৎপাদন তারিখ থেকে ২৪ থেকে ৩৬ মাস।
প্রাপ্যতা
ফার্মেসি, হাসপাতাল
অনুমোদনের অবস্থা
এফডিএ অনুমোদিত, বাংলাদেশে উপলব্ধ
পেটেন্ট অবস্থা
পেটেন্ট মুক্ত
WHO অত্যাবশ্যক ওষুধ
হ্যাঁক্লিনিকাল ট্রায়াল
অ্যারিপিপ্রাজল তার অনুমোদিত নির্দেশনার জন্য কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা সমর্থনে ব্যাপক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে, যার মধ্যে এর দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার এবং নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যবহার সম্পর্কিত গবেষণা অন্তর্ভুক্ত।
ল্যাব মনিটরিং
- রক্তে গ্লুকোজ এবং লিপিড প্রোফাইল (কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড) এর প্রাথমিক এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যবেক্ষণ
- ওজন পর্যবেক্ষণ
- সংক্রমণের লক্ষণ বা শ্বেত রক্তকণিকা কমে গেলে সম্পূর্ণ রক্ত গণনা (CBC)
- কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণ থাকলে বা QT-দীর্ঘকারী ওষুধের সাথে সহবর্তী ব্যবহারের আগে ইসিজি
ডাক্তারের নোট
- চিকিৎসার শুরুতে বা ডোজ পরিবর্তনের সময় রোগীদের আত্মহত্যার প্রবণতা এবং আচরণের পরিবর্তনের জন্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।
- মেটাবলিক পরামিতি (গ্লুকোজ, লিপিড, ওজন) নিয়মিত মূল্যায়ন করুন।
- NMS এবং টার্ডিভ ডিসকাইনেসিয়ার লক্ষণ সম্পর্কে রোগী ও যত্নশীলদের শিক্ষিত করুন।
- অব্যাখ্যাত প্রতিকূল প্রভাব বা কার্যকারিতার অভাব দেখা দিলে CYP2D6 এর জন্য ফার্মাকোজেনোমিক পরীক্ষা বিবেচনা করুন।
রোগীর নির্দেশিকা
- আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন।
- ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া হঠাৎ করে ঔষধ সেবন বন্ধ করবেন না, কারণ এটি প্রত্যাহারের লক্ষণ বা রোগের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।
- যেকোনো অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত নড়াচড়া, জ্বর বা মেজাজের পরিবর্তন দেখা দিলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারকে জানান।
- এই ঔষধ সেবনকালে অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন কারণ এটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়াতে পারে।
- অর্থোস্ট্যাটিক হাইপোটেনশনের ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন থাকুন এবং বসা বা শুয়ে থাকা অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে উঠুন।
মিসড ডোজের পরামর্শ
যদি আপনি একটি ডোজ নিতে ভুলে যান, তবে মনে পড়ার সাথে সাথে তা গ্রহণ করুন। যদি আপনার পরবর্তী ডোজের প্রায় সময় হয়ে যায়, তবে মিস করা ডোজটি বাদ দিন এবং আপনার নিয়মিত ডোজের সময়সূচী চালিয়ে যান। মিস করা ডোজ পূরণের জন্য দ্বিগুণ ডোজ গ্রহণ করবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
অ্যারিপিপ্রাজল তন্দ্রা, মাথা ঘোরা বা দৃষ্টি ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, বিশেষ করে চিকিৎসার শুরুতে। রোগীরা গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি পরিচালনার সময় সতর্ক থাকবেন যতক্ষণ না তারা জানতে পারেন যে ঔষধটি তাদের উপর কিভাবে প্রভাব ফেলে।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- সম্ভাব্য ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- পর্যাপ্ত জল পান নিশ্চিত করুন।
- ভাল মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক ঘুমের অভ্যাস বজায় রাখুন।
- ধূমপান এবং অবৈধ মাদক সেবন এড়িয়ে চলুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।
অ্যারাইড ব্র্যান্ডের অন্যান্য ওষুধ
একই ব্র্যান্ড নামের অধীনে উপলব্ধ অন্যান্য ওষুধ