ক্যাপ্রোলিন
জেনেরিক নাম
ক্যাপ্রোলেক্স
প্রস্তুতকারক
ফার্মাকর্প বাংলাদেশ
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ক্যাপ্রোলেক্স হলো একটি কাল্পনিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ঔষধ যা সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিউপটেক ইনহিবিটর শ্রেণিভুক্ত। এটি প্রধান বিষণ্নতাজনিত রোগ, সাধারণ উদ্বেগজনিত রোগ এবং প্যানিক ডিসঅর্ডারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে 'ক্যাপ্রোলেক্স' কোনো স্বীকৃত জেনেরিক ঔষধের নাম নয় এবং এই এন্ট্রিটি শুধুমাত্র উদাহরণের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
প্রাথমিক ডোজ ১০ মি.গ্রা. দিনে একবার। সম্ভাব্য বর্ধিত সংবেদনশীলতার কারণে সর্বোচ্চ ডোজ ১০ মি.গ্রা. দৈনিক।
কিডনি সমস্যা
হালকা থেকে মাঝারি কিডনি সমস্যায় ডোজ সমন্বয়ের প্রয়োজন নেই। গুরুতর সমস্যায় সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন।
প্রাপ্তবয়স্ক
প্রাথমিক ডোজ ১০ মি.গ্রা. দিনে একবার, এক সপ্তাহ পর ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। সর্বোচ্চ ডোজ ২০ মি.গ্রা. দৈনিক।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
ক্যাপ্রোলেক্স ট্যাবলেট দিনে একবার মৌখিকভাবে সেব্য, খাবার সহ বা খাবার ছাড়া, preferably সকালে।
কার্যপ্রণালী
ক্যাপ্রোলেক্স কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে সেরোটোনিনের পুনরায় শোষণকে বাধা দিয়ে কাজ করে বলে মনে করা হয়, যার ফলে সিনাপটিক ক্লেফটে সেরোটোনিনের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। এটি সেরোটোনার্জিক নিউরোট্রান্সমিশনকে উন্নত করে।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
মৌখিকভাবে ভালোভাবে শোষিত হয়; ৪-৮ ঘন্টার মধ্যে প্লাজমাতে সর্বোচ্চ ঘনত্বে পৌঁছায়।
নিঃসরণ
প্রধানত মেটাবোলাইট হিসাবে মূত্রের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়, কিছু মলের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়।
হাফ-লাইফ
প্রায় ২০-২৬ ঘন্টা, যা দিনে একবার ডোজের জন্য উপযুক্ত।
মেটাবলিজম
প্রধানত CYP এনজাইম দ্বারা যকৃতে ব্যাপকভাবে মেটাবলাইজড হয়।
কার্য শুরু
অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট প্রভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পেতে ২-৪ সপ্তাহ লাগতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- ক্যাপ্রোলেক্স বা এর যেকোনো উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা
- মনোঅ্যামিন অক্সিডেজ ইনহিবিটরস সাথে একসাথে ব্যবহার বা MAOI থেরাপি বন্ধ করার ১৪ দিনের মধ্যে ব্যবহার
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
MAOI
সেরোটোনিন সিনড্রোমের ঝুঁকি। একসাথে ব্যবহার প্রতিনির্দেশিত।
NSAIDs
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি।
ওয়ারফারিন
অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট প্রভাব বাড়াতে পারে; INR নিরীক্ষণ করুন।
সংরক্ষণ
৩০°C এর নিচে শুষ্ক স্থানে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, মাথা ঘোরা, কাঁপুনি এবং তন্দ্রা। ব্যবস্থাপনা সহায়ক এবং লক্ষণভিত্তিক; পর্যাপ্ত শ্বাসপথ, শ্বাসপ্রশ্বাস এবং রক্ত সঞ্চালন নিশ্চিত করুন। অ্যাক্টিভেটেড চারকোল বিবেচনা করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করুন যদি সম্ভাব্য সুবিধা ভ্রূণের সম্ভাব্য ঝুঁকির চেয়ে বেশি হয়। ডাক্তারের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্তন্যদানকালে সুপারিশ করা হয় না।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
উৎপাদনের তারিখ থেকে ২৪ মাস।
প্রাপ্যতা
ফার্মেসি এবং হাসপাতালে পাওয়া যায়
অনুমোদনের অবস্থা
কাল্পনিকভাবে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত
পেটেন্ট অবস্থা
কাল্পনিকভাবে পেটেন্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ
ক্লিনিকাল ট্রায়াল
কাল্পনিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রধান বিষণ্নতাজনিত রোগ এবং উদ্বেগজনিত রোগে কার্যকারিতা এবং সহনশীল নিরাপত্তা প্রোফাইল প্রমাণিত হয়েছে।
ল্যাব মনিটরিং
- কিডনি এবং যকৃতের কার্যকারিতা পর্যায়ক্রমে পর্যবেক্ষণ করুন, বিশেষ করে যাদের পূর্ব-বিদ্যমান সমস্যা আছে।
- হাইপোন্যাট্রেমিয়ার জন্য পর্যবেক্ষণ করুন, বিশেষ করে বয়স্ক রোগীদের বা যারা মূত্রবর্ধক গ্রহণ করছেন।
ডাক্তারের নোট
- শুরু এবং বন্ধ করার সময় ডোজের ধীরগতিতে পরিবর্তন করার উপর জোর দিন।
- চিকিৎসার শুরুতে বা ডোজ পরিবর্তনের পর রোগীদের ক্লিনিক্যাল অবস্থার অবনতি এবং আত্মহত্যার প্রবণতার জন্য পর্যবেক্ষণ করুন।
রোগীর নির্দেশিকা
- ক্যাপ্রোলেক্স হঠাৎ করে বন্ধ করবেন না, কারণ এটি প্রত্যাহারের লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। ধীরে ধীরে ডোজ কমানোর জন্য ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
- ক্যাপ্রোলেক্স কাজ শুরু করতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে, নির্দেশিত হিসাবে এটি গ্রহণ চালিয়ে যান।
- যেকোনো অস্বাভাবিক মেজাজ পরিবর্তন বা আত্মহত্যার চিন্তা আপনার ডাক্তারকে অবিলম্বে জানান।
মিসড ডোজের পরামর্শ
যদি একটি ডোজ নিতে ভুলে যান, মনে পড়ার সাথে সাথে তা নিয়ে নিন। যদি আপনার পরবর্তী ডোজের প্রায় সময় হয়ে যায়, তাহলে বাদ পড়া ডোজটি এড়িয়ে চলুন এবং আপনার নিয়মিত ডোজের সময়সূচী চালিয়ে যান। দুটি ডোজ একসাথে নেবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
ক্যাপ্রোলেক্স মাথা ঘোরা বা তন্দ্রা সৃষ্টি করতে পারে। রোগীরা গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি পরিচালনার সময় সতর্ক থাকবেন যতক্ষণ না তারা জানেন যে ঔষধটি তাদের উপর কিভাবে প্রভাব ফেলে।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- সুস্থ খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম বজায় রাখুন।
- অতিরিক্ত ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল পরিহার করুন।
- স্ট্রেস কমানোর কৌশল অনুশীলন করুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।