সিনাজিন-প্লাস
জেনেরিক নাম
সিনারিজিন + ডাইমেনহাইড্রিনেট
প্রস্তুতকারক
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
মূল্যের বিবরণ
বর্তমান বাজার মূল্যের তথ্য
ভেরিয়েন্ট | একক মূল্য | পাতার মূল্য |
---|---|---|
cinazin plus 20 mg tablet | ২.০০৳ | ২০.০০৳ |
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
সিনাজিন-প্লাস হলো সিনারিজিন এবং ডাইমেনহাইড্রিনেট-এর একটি সম্মিলিত ঔষধ, যা প্রাথমিকভাবে মেনিয়ার্স ডিজিজ এবং অন্যান্য ভেস্টিবুলার ডিসঅর্ডার সম্পর্কিত মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এবং বমি উপশমে ব্যবহৃত হয়। সিনারিজিন ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লক করে এবং অ্যান্টিহিস্টামিন হিসাবে কাজ করে, যখন ডাইমেনহাইড্রিনেট অ্যান্টিইমেটিক এবং অ্যান্টিকোলিনার্জিক বৈশিষ্ট্য সহ একটি অ্যান্টিহিস্টামিন।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই, তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে অ্যান্টিকোলিনার্জিক প্রভাব এবং তন্দ্রার প্রতি সংবেদনশীলতা বৃদ্ধির কারণে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
কিডনি সমস্যা
সাবধানে ব্যবহার করুন। মাঝারি থেকে গুরুতর কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডোজ কমানো প্রয়োজন হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
প্রাপ্তবয়স্ক
একটি ট্যাবলেট (সিনারিজিন ২০ মি.গ্রা. + ডাইমেনহাইড্রিনেট ৪০ মি.গ্রা.) দিনে দুই থেকে তিনবার, খাবারের পর সেবন করা বাঞ্ছনীয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া চিকিৎসার সময়কাল ৪ সপ্তাহের বেশি হওয়া উচিত নয়।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
গ্যাস্ট্রিক জ্বালাপোড়া কমাতে খাবারের পর পানি দিয়ে ট্যাবলেটটি মৌখিকভাবে সেবন করুন।
কার্যপ্রণালী
সিনারিজিন, একটি অ্যান্টিহিস্টামিন এবং ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, ভেস্টিবুলার সংবেদনশীল কোষে ক্যালসিয়াম প্রবেশে বাধা দেয়, যার ফলে তাদের উত্তেজনা কমে। ডাইমেনহাইড্রিনেট, আরেকটি অ্যান্টিহিস্টামিন, মস্তিষ্কের H1 রিসেপ্টরগুলিতে প্রধানত কাজ করে, যার মধ্যে ভেস্টিবুলার সিস্টেম এবং কেমোরিসেপ্টর ট্রিগার জোন (সিটিজেড) অন্তর্ভুক্ত, বমি বমি ভাব, বমি এবং মাথা ঘোরা কমাতে সাহায্য করে। এই সংমিশ্রণ একটি সমন্বিত প্রভাব প্রদান করে।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
মৌখিকভাবে সেবনের পর সিনারিজিন এবং ডাইমেনহাইড্রিনেট উভয়ই গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট থেকে ভালোভাবে শোষিত হয়। সিনারিজিনের সর্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্ব ১-৩ ঘন্টার মধ্যে এবং ডাইমেনহাইড্রিনেটের (ডাইফেনহাইড্রামিন হিসাবে) ১-২ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যায়।
নিঃসরণ
সিনারিজিন মেটাবোলাইটগুলি প্রধানত মলের মাধ্যমে (প্রায় ৬০%) এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে (প্রায় ৪০%) নিঃসৃত হয়। ডাইমেনহাইড্রিনেট মেটাবোলাইটগুলি প্রধানত প্রস্রাবের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়।
হাফ-লাইফ
সিনারিজিনের প্লাজমা হাফ-লাইফ ৪ থেকে ২৪ ঘন্টা। ডাইমেনহাইড্রিনেটের (ডাইফেনহাইড্রামিন উপাদান) হাফ-লাইফ ১ থেকে ৪ ঘন্টা।
মেটাবলিজম
উভয় ওষুধই যকৃতে ব্যাপক মাত্রায় মেটাবলিজড হয়। সিনারিজিন প্রধানত CYP2D6 এর মাধ্যমে। ডাইমেনহাইড্রিনেট ডাইফেনহাইড্রামিন এবং ক্লোরোথিওফিলিনে মেটাবলিজড হয়।
কার্য শুরু
সাধারণত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মধ্যে কার্যকারিতা শুরু হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- সিনারিজিন, ডাইমেনহাইড্রিনেট বা ডাইফেনহাইড্রামিনের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
- এঙ্গেল-ক্লোজার গ্লুকোমা।
- প্রস্রাব ধরে রাখার প্রবণতা সহ প্রোস্ট্যাটিক হাইপারট্রফি।
- মৃগীরোগ বা অন্যান্য খিঁচুনি রোগ।
- পোরফাইরিয়া।
- গুরুতর হেপাটিক বা রেনাল বৈকল্য।
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ
রক্তচাপ কমানোর প্রভাব বাড়াতে পারে।
অটোটক্সিক ওষুধ (যেমন: অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড অ্যান্টিবায়োটিক)
অটোটক্সিসিটির সতর্কীকরণ লক্ষণগুলিকে মাস্ক করতে পারে।
সিএনএস ডিপ্রেশন সৃষ্টিকারী ওষুধ (অ্যালকোহল, সিডেটিভ, হিপনোটিক)
তন্দ্রাভাব বাড়াতে পারে।
অ্যান্টিকোলিনার্জিক ওষুধ (যেমন: ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, এমএও ইনহিবিটরস)
মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি এবং প্রস্রাব আটকে যাওয়ার মতো অ্যান্টিকোলিনার্জিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়াতে পারে।
সংরক্ষণ
৩০°সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে তন্দ্রাভাব, মাথা ঘোরা, অ্যাটাক্সিয়া, হ্যালুসিনেশন, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, প্রস্রাব আটকে যাওয়া এবং বিরল ক্ষেত্রে খিঁচুনি। চিকিৎসা লক্ষণীয় এবং সহায়ক, যার মধ্যে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভকালীন সময়ে ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয় না, যদি না স্পষ্টভাবে প্রয়োজন হয় এবং সম্ভাব্য সুবিধা সম্ভাব্য ঝুঁকিকে ছাড়িয়ে যায়। স্তন্যপান করানোর সময় এড়িয়ে চলুন কারণ উভয় সক্রিয় উপাদানই বুকের দুধে নিঃসৃত হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- সিনারিজিন, ডাইমেনহাইড্রিনেট বা ডাইফেনহাইড্রামিনের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
- এঙ্গেল-ক্লোজার গ্লুকোমা।
- প্রস্রাব ধরে রাখার প্রবণতা সহ প্রোস্ট্যাটিক হাইপারট্রফি।
- মৃগীরোগ বা অন্যান্য খিঁচুনি রোগ।
- পোরফাইরিয়া।
- গুরুতর হেপাটিক বা রেনাল বৈকল্য।
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ
রক্তচাপ কমানোর প্রভাব বাড়াতে পারে।
অটোটক্সিক ওষুধ (যেমন: অ্যামিনোগ্লাইকোসাইড অ্যান্টিবায়োটিক)
অটোটক্সিসিটির সতর্কীকরণ লক্ষণগুলিকে মাস্ক করতে পারে।
সিএনএস ডিপ্রেশন সৃষ্টিকারী ওষুধ (অ্যালকোহল, সিডেটিভ, হিপনোটিক)
তন্দ্রাভাব বাড়াতে পারে।
অ্যান্টিকোলিনার্জিক ওষুধ (যেমন: ট্রাইসাইক্লিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্টস, এমএও ইনহিবিটরস)
মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি এবং প্রস্রাব আটকে যাওয়ার মতো অ্যান্টিকোলিনার্জিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাড়াতে পারে।
সংরক্ষণ
৩০°সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রায় সেবনের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে তন্দ্রাভাব, মাথা ঘোরা, অ্যাটাক্সিয়া, হ্যালুসিনেশন, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি, প্রস্রাব আটকে যাওয়া এবং বিরল ক্ষেত্রে খিঁচুনি। চিকিৎসা লক্ষণীয় এবং সহায়ক, যার মধ্যে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং অ্যাক্টিভেটেড চারকোল ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভকালীন সময়ে ব্যবহার করার সুপারিশ করা হয় না, যদি না স্পষ্টভাবে প্রয়োজন হয় এবং সম্ভাব্য সুবিধা সম্ভাব্য ঝুঁকিকে ছাড়িয়ে যায়। স্তন্যপান করানোর সময় এড়িয়ে চলুন কারণ উভয় সক্রিয় উপাদানই বুকের দুধে নিঃসৃত হয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
সাধারণত উৎপাদনের তারিখ থেকে ২ থেকে ৩ বছর।
প্রাপ্যতা
বাংলাদেশের সর্বত্র ফার্মেসিতে উপলব্ধ
অনুমোদনের অবস্থা
ডিজিডিএ কর্তৃক অনুমোদিত
পেটেন্ট অবস্থা
জেনেরিক উপলব্ধ
ক্লিনিকাল ট্রায়াল
সিনারিজিন/ডাইমেনহাইড্রিনেট সংমিশ্রণের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা ভার্টিগো এবং সম্পর্কিত লক্ষণগুলির চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে মূল্যায়ন করা হয়েছে।
ল্যাব মনিটরিং
- সাধারণত কোনো রুটিন ল্যাব পরীক্ষা প্রয়োজন হয় না। তবে, দীর্ঘস্থায়ী থেরাপি বা হেপাটিক/রেনাল সমস্যাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে লিভার এবং কিডনি ফাংশন টেস্টের পর্যায়ক্রমিক পর্যবেক্ষণ পরামর্শযোগ্য হতে পারে।
ডাক্তারের নোট
- সম্ভাব্য তন্দ্রাভাব এবং সতর্কতা প্রয়োজন এমন ক্রিয়াকলাপ এড়ানোর বিষয়ে রোগীদের পরামর্শ দিন।
- বয়স্ক রোগীদের মধ্যে অ্যান্টিকোলিনার্জিক প্রভাব এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধির কারণে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
- প্র predisposed রোগীদের মধ্যে প্রস্রাব আটকে যাওয়া বা গ্লুকোমা বাড়ার লক্ষণগুলির জন্য পর্যবেক্ষণ করুন।
- বিশেষ করে দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারের জন্য পর্যায়ক্রমে চিকিৎসা পর্যালোচনা করুন।
রোগীর নির্দেশিকা
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সিনাজিন-প্লাস সঠিকভাবে সেবন করুন।
- নির্ধারিত ডোজের বেশি সেবন করবেন না।
- এই ওষুধ তন্দ্রাভাব সৃষ্টি করতে পারে; গাড়ি চালানো বা ভারী যন্ত্রপাতি চালানো থেকে বিরত থাকুন।
- এই ওষুধ সেবনের সময় অ্যালকোহল পরিহার করুন।
মিসড ডোজের পরামর্শ
যদি আপনি একটি ডোজ নিতে ভুলে যান, মনে পড়ার সাথে সাথে তা গ্রহণ করুন। তবে, যদি পরবর্তী ডোজের সময় প্রায় হয়ে যায়, তবে বাদ দেওয়া ডোজটি এড়িয়ে যান এবং আপনার নিয়মিত dosing সময়সূচী অনুযায়ী চলতে থাকুন। ভুলে যাওয়া ডোজ পূরণ করতে দুটি ডোজ একসাথে নেবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
সিনাজিন-প্লাস তন্দ্রাভাব, মাথা ঘোরা বা ঝাপসা দৃষ্টি সৃষ্টি করতে পারে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনুভব করলে রোগীদের গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- যদি তন্দ্রাভাব অনুভব করেন তবে এমন ক্রিয়াকলাপ এড়িয়ে চলুন যার জন্য মানসিক সতর্কতা প্রয়োজন। পর্যাপ্ত জল পান নিশ্চিত করুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।