ফ্লেক্সিভান

ক্লিনিকাল ট্রায়াল

ইটোরিকক্সিব প্লাসিবো এবং অন্যান্য এনএসএআইডি-এর তুলনায় বিভিন্ন ব্যথা ও প্রদাহজনিত অবস্থায় এর কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা প্রদর্শনের জন্য ব্যাপক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে গেছে। ট্রায়ালগুলি কার্ডিওভাসকুলার এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল নিরাপত্তা প্রোফাইলগুলির উপরও মনোযোগ দিয়েছে।

ল্যাব মনিটরিং

• রক্তচাপের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে।
• বিশেষ করে কিডনি সমস্যাযুক্ত রোগীদের বা যারা ডাইউরেটিকস গ্রহণ করছেন তাদের জন্য পর্যায়ক্রমিক কিডনি ফাংশন পরীক্ষা (যেমন: সিরাম ক্রিয়েটিনিন, বিইউএন)।
• যদি যকৃতের কর্মহীনতা সন্দেহ হয় বা দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে লিভার ফাংশন পরীক্ষা (যেমন: এএলটি, এএসটি)।
• দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি)।

ডাক্তারের নোট

• প্রেসক্রাইব করার আগে কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকির কারণ এবং জিআই ইতিহাস মূল্যায়ন করুন।
• সবচেয়ে কম কার্যকর ডোজ সর্বনিম্ন সময়ের জন্য ব্যবহার করুন।
• উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত রক্তচাপ পর্যবেক্ষণ করুন।
• যদি এমআই/স্ট্রোক বা গুরুতর জিআই রক্তপাতের লক্ষণ দেখা যায় তবে রোগীকে অবিলম্বে চিকিৎসকের সহায়তা চাইতে পরামর্শ দিন।

রোগীর নির্দেশিকা

• পুরো ট্যাবলেটটি পানি দিয়ে গিলুন।
• নির্দেশিত ডোজ অতিক্রম করবেন না।
• আপনার ডাক্তারকে যেকোনো বিদ্যমান স্বাস্থ্যগত অবস্থা, বিশেষ করে হার্ট, কিডনি বা লিভারের সমস্যা সম্পর্কে জানান।
• যেকোনো অস্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, বিশেষ করে পেটে ব্যথা, কালো মল বা গোড়ালি/পায়ে ফোলাভাব রিপোর্ট করুন।
• অন্যান্য এনএসএআইডি (যেমন: আইবুপ্রোফেন, ন্যাপারক্সেন) বা অ্যাসপিরিনের সাথে গ্রহণ করবেন না (যদি না ডাক্তার বিশেষভাবে পরামর্শ দেন)।

মিসড ডোজের পরামর্শ

যদি কোনো ডোজ বাদ পড়ে যায়, মনে পড়ার সাথে সাথে তা খেয়ে নিন। তবে যদি পরবর্তী ডোজের সময় প্রায় হয়ে যায়, তাহলে বাদ পড়া ডোজটি বাদ দিন এবং আপনার নিয়মিত ডোজের সময়সূচী অনুসরণ করুন। বাদ পড়া ডোজ পূরণ করতে একসাথে দুটি ডোজ গ্রহণ করবেন না।

গাড়ি চালানোর সতর্কতা

কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা বা তন্দ্রা হতে পারে। রোগীদের গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি পরিচালনার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া উচিত যতক্ষণ না তারা জানেন যে ফ্লেক্সিভান তাদের কীভাবে প্রভাবিত করে।

জীবনযাত্রার পরামর্শ

• স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
• অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করুন, বিশেষ করে যদি আপনার পেটের সমস্যার ইতিহাস থাকে।
• ধূমপান এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি কার্ডিওভাসকুলার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।