গ্লাইকোবি
জেনেরিক নাম
বিগানিব
প্রস্তুতকারক
ফার্মাকর্প বাংলাদেশ (কাল্পনিক)
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
বিগানিব হলো টাইপ ২ ডায়াবেটিস মেলিটাস চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত একটি ওরাল অ্যান্টিডায়াবেটিক ওষুধ। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে এবং যকৃত থেকে গ্লুকোজ উৎপাদন কমিয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি একা বা অন্যান্য অ্যান্টিডায়াবেটিক এজেন্টের সাথে একত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
কম ডোজ দিয়ে শুরু করুন (যেমন, ২৫০ মি.গ্রা. দিনে একবার) এবং কিডনির কার্যকারিতা অনুযায়ী সাবধানে সামঞ্জস্য করুন।
কিডনি সমস্যা
তীব্র কিডনি সমস্যায় (eGFR <৩০ মি.লি./মিনিট) প্রতিনির্দেশিত। eGFR ৩০-৬০ মি.লি./মিনিটের জন্য ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন। চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।
প্রাপ্তবয়স্ক
প্রাথমিক ডোজ: ৫০০ মি.গ্রা. মুখে দিনে একবার বা দুবার খাবারের সাথে। সর্বোচ্চ ডোজ প্রতিদিন ২০০০ মি.গ্রা. পর্যন্ত ধীরে ধীরে বাড়ানো যেতে পারে।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে খাবারের সাথে মুখে গ্রহণ করুন। ট্যাবলেটটি জল দিয়ে পুরো গিলে ফেলুন; ভাঙবেন না বা চিবিয়ে খাবেন না।
কার্যপ্রণালী
বিগানিব মূলত যকৃতের গ্লুকোজ উৎপাদন (গ্লুকোনিওজেনেসিস) হ্রাস করে, পেরিফেরাল টিস্যুগুলিতে (যেমন পেশী ও চর্বি কোষে) ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে এবং অন্ত্রে গ্লুকোজ শোষণ বিলম্বিত করে কাজ করে। এটি ইনসুলিন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে না, তাই এটি সাধারণত হাইপোগ্লাইসেমিয়া সৃষ্টি করে না।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট থেকে দ্রুত শোষিত হয়; এর পরম বায়ো অ্যাভেইলবিলিটি প্রায় ৫০-৬০%।
নিঃসরণ
মূলত অপরিবর্তিত অবস্থায় কিডনি দ্বারা গ্লোমেরুলার পরিস্রাবণ এবং টিউবুলার নিঃসরণের মাধ্যমে নির্গত হয়।
হাফ-লাইফ
প্লাজমা থেকে নির্গমন হাফ-লাইফ প্রায় ৪-৯ ঘন্টা।
মেটাবলিজম
যকৃতে ব্যাপকভাবে মেটাবলাইজড হয় না। মূলত অপরিবর্তিত অবস্থায় নির্গত হয়।
কার্য শুরু
গ্লুকোজ কমানোর প্রভাব সাধারণত ২ ঘন্টার মধ্যে শুরু হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- বিগানিব বা এর যেকোনো উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
- তীব্র কিডনি সমস্যা (eGFR <৩০ মি.লি./মিনিট)।
- তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস, যার মধ্যে ডায়াবেটিক কিটো অ্যাসিডোসিস অন্তর্ভুক্ত।
- ডিহাইড্রেশন, তীব্র হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা, তীব্র মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, সেপটিসেমিয়া।
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
অ্যালকোহল
ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন।
সিমেটিডিন
বিগানিবের প্লাজমা ঘনত্ব বাড়াতে পারে; ডোজ কমানোর কথা বিবেচনা করুন।
ডাইউরেটিকস (বিশেষ করে লুপ ডাইউরেটিকস)
কিডনির কার্যকারিতা সম্ভাব্য দুর্বলতার কারণে ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সংরক্ষণ
৩০°সেলসিয়াস এর নিচে শুকনো জায়গায়, সরাসরি সূর্যালোক এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত ডোজের ফলে ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিস হতে পারে, যা একটি জরুরি অবস্থা। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে লক্ষণভিত্তিক এবং সহায়ক ব্যবস্থা, যার মধ্যে বিগানিব অপসারণ এবং অ্যাসিডোসিস সংশোধন করার জন্য হেমোডায়ালাইসিস অন্তর্ভুক্ত।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। সাধারণত, গর্ভাবস্থায় গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন পছন্দ করা হয়। বিগানিব বুকের দুধে নিঃসৃত হয়; স্তন্যপান করানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- বিগানিব বা এর যেকোনো উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
- তীব্র কিডনি সমস্যা (eGFR <৩০ মি.লি./মিনিট)।
- তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস, যার মধ্যে ডায়াবেটিক কিটো অ্যাসিডোসিস অন্তর্ভুক্ত।
- ডিহাইড্রেশন, তীব্র হৃদযন্ত্রের ব্যর্থতা, তীব্র মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন, সেপটিসেমিয়া।
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
অ্যালকোহল
ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন।
সিমেটিডিন
বিগানিবের প্লাজমা ঘনত্ব বাড়াতে পারে; ডোজ কমানোর কথা বিবেচনা করুন।
ডাইউরেটিকস (বিশেষ করে লুপ ডাইউরেটিকস)
কিডনির কার্যকারিতা সম্ভাব্য দুর্বলতার কারণে ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
সংরক্ষণ
৩০°সেলসিয়াস এর নিচে শুকনো জায়গায়, সরাসরি সূর্যালোক এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত ডোজের ফলে ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিস হতে পারে, যা একটি জরুরি অবস্থা। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে লক্ষণভিত্তিক এবং সহায়ক ব্যবস্থা, যার মধ্যে বিগানিব অপসারণ এবং অ্যাসিডোসিস সংশোধন করার জন্য হেমোডায়ালাইসিস অন্তর্ভুক্ত।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। সাধারণত, গর্ভাবস্থায় গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণের জন্য ইনসুলিন পছন্দ করা হয়। বিগানিব বুকের দুধে নিঃসৃত হয়; স্তন্যপান করানোর সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
উৎপাদনের তারিখ থেকে ৩ বছর
প্রাপ্যতা
দেশব্যাপী ফার্মেসীগুলিতে উপলব্ধ
অনুমোদনের অবস্থা
ডিজিডিএ কর্তৃক অনুমোদিত (কাল্পনিক)
পেটেন্ট অবস্থা
জেন এরিক উপলব্ধ
WHO অত্যাবশ্যক ওষুধ
হ্যাঁক্লিনিকাল ট্রায়াল
কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা প্রদর্শন করে ফেজ III ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতার জন্য ফেজ IV ট্রায়াল চলছে।
ল্যাব মনিটরিং
- বিগানিব শুরু করার আগে এবং পরবর্তীতে প্রতি বছর অন্তত একবার কিডনির কার্যকারিতা (eGFR) মূল্যায়ন করা উচিত।
- রক্তে গ্লুকোজ এবং HbA1c এর মাত্রা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
- বিশেষ করে ভিটামিন বি১২ এর অভাবের ঝুঁকিতে থাকা রোগী বা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসাধীন রোগীদের ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ভিটামিন বি১২ এর মাত্রা পর্যবেক্ষণের কথা বিবেচনা করুন।
ডাক্তারের নোট
- কিডনির কার্যকারিতা এবং রক্তে গ্লুকোজের নিয়মিত পর্যবেক্ষণের উপর জোর দিন।
- ল্যাকটিক অ্যাসিডোসিসের লক্ষণ এবং সন্দেহ হলে অবিলম্বে চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে রোগীদের অবহিত করুন।
- দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারকারীদের, বিশেষ করে বয়স্ক বা যাদের শোষণ ক্ষমতা কম, তাদের জন্য ভিটামিন বি১২ সম্পূরক বিবেচনা করুন।
রোগীর নির্দেশিকা
- আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী বিগানিব গ্রহণ করুন।
- যদি অস্বাভাবিক পেশী ব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট, অস্বাভাবিক পেটে অস্বস্তি, বা খুব দুর্বল বা ক্লান্ত বোধ করেন তবে আপনার ডাক্তারকে জানান।
- আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে বিগানিব গ্রহণ বন্ধ করবেন না।
- সর্বদা আপনার কাছে ডায়াবেটিস আছে এমন পরিচয়পত্র রাখুন।
মিসড ডোজের পরামর্শ
যদি একটি ডোজ বাদ পড়ে, মনে পড়ার সাথে সাথে তা গ্রহণ করুন, যদি না আপনার পরবর্তী ডোজের প্রায় সময় হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে, বাদ পড়া ডোজটি এড়িয়ে যান এবং আপনার নিয়মিত ডোজের সময়সূচী পুনরায় শুরু করুন। ডোজ দ্বিগুণ করবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
বিগানিব একা সাধারণত হাইপোগ্লাইসেমিয়া সৃষ্টি করে না, তাই এটি আপনার গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি পরিচালনার ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলবে না। তবে, যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া ঘটাতে পারে এমন অন্যান্য অ্যান্টিডায়াবেটিক এজেন্টের সাথে একত্রে ব্যবহার করা হয়, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং নিয়মিত ব্যায়াম রুটিন বজায় রাখুন।
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন এড়িয়ে চলুন।
- আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।