আইরোফিল-এফজেড
জেনেরিক নাম
ফেরাস ফিউমারেট + ফলিক অ্যাসিড + জিঙ্ক সালফেট মনোহাইড্রেট
প্রস্তুতকারক
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
মূল্যের বিবরণ
বর্তমান বাজার মূল্যের তথ্য
ভেরিয়েন্ট | একক মূল্য | পাতার মূল্য |
---|---|---|
irofil fz 48 mg tablet | ৫.০০৳ | ৫০.০০৳ |
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
আইরোফিল-এফজেড হলো ফেরাস ফিউমারেট, ফলিক অ্যাসিড এবং জিঙ্ক সালফেট মনোহাইড্রেটের একটি সম্মিলিত প্রস্তুতি। এটি মূলত আয়রনের অভাবজনিত রক্তস্বল্পতা, মেগালোব্লাস্টিক রক্তস্বল্পতা এবং জিঙ্কের অভাব প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে গর্ভাবস্থা, স্তন্যদান এবং অন্যান্য অবস্থায় যখন রক্তকণিকা উৎপাদন ও খনিজ পরিপূরকের চাহিদা বেড়ে যায়।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই ডোজ, যদি না নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যগত অবস্থার জন্য সমন্বয় প্রয়োজন হয়।
কিডনি সমস্যা
সাধারণত নিরাপদ, তবে গুরুতর কিডনি সমস্যায় সতর্ক থাকতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রাপ্তবয়স্ক
প্রতিদিন ১টি ক্যাপসুল, খাবার পর গ্রহণ করা উত্তম, অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
মৌখিকভাবে, খাবারের পর পানি দিয়ে গিলে ফেলুন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি কমাতে।
কার্যপ্রণালী
ফেরাস ফিউমারেট হিমোগ্লোবিন গঠন এবং অক্সিজেন পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক আয়রন সরবরাহ করে। ফলিক অ্যাসিড ডিএনএ সংশ্লেষণ, কোষ বিভাজন এবং লোহিত রক্তকণিকার পরিপক্কতার জন্য অত্যাবশ্যক। জিঙ্ক সালফেট মনোহাইড্রেট অসংখ্য এনজাইমের কোফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ক্ষত নিরাময়, প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং কোষ বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
ফেরাস ফিউমারেট প্রধানত ডুওডেনাম এবং উপরের জেজুনামে শোষিত হয়, শোষণের হার আয়রনের মজুদের উপর নির্ভর করে। ফলিক অ্যাসিড গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট থেকে সহজেই শোষিত হয়। জিঙ্ক সালফেট প্রধানত ক্ষুদ্রান্ত্রে শোষিত হয়।
নিঃসরণ
ফলিক অ্যাসিড প্রধানত প্রস্রাবের মাধ্যমে নির্গত হয়। জিঙ্ক প্রধানত মলের মাধ্যমে নির্গত হয়। আয়রনের নিঃসরণ খুব কম, প্রধানত কোষের ক্ষয়ের মাধ্যমে।
হাফ-লাইফ
ফলিক অ্যাসিডের প্লাজমা হাফ-লাইফ কয়েক ঘণ্টা। আয়রন এবং জিঙ্ক মূলত পুনর্ব্যবহার বা সঞ্চিত হয়, থেরাপিউটিক প্রভাবের জন্য কোনো নির্দিষ্ট প্লাজমা হাফ-লাইফ নেই।
মেটাবলিজম
ফলিক অ্যাসিড যকৃতে টেট্রাহাইড্রোপোলেটে রূপান্তরিত হয়। আয়রন এবং জিঙ্ক শোষিত হয় এবং বিভিন্ন বিপাকীয় পথে ব্যবহৃত হয়।
কার্য শুরু
রক্তস্বল্পতার জন্য থেরাপিউটিক প্রভাব সাধারণত কয়েক সপ্তাহ থেকে কয়েক মাসের মধ্যে দেখা যায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- যেকোনো উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা
- হেমোসিডেরোসিস বা হেমোক্রোমাটোসিস
- হেমোলাইটিক রক্তস্বল্পতা (যদি আয়রনের অভাবও না থাকে)
- সক্রিয় পেপটিক আলসার
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
ফেনাইটোইন
ফলিক অ্যাসিড ফেনাইটোইনের সিরাম স্তর কমাতে পারে।
অ্যান্টাসিড
আয়রনের শোষণ কমাতে পারে। অ্যান্টাসিড গ্রহণের অন্তত ২ ঘণ্টা আগে বা ৪ ঘণ্টা পরে আয়রন পরিপূরক গ্রহণ করুন।
লেভোথাইরক্সিন
আয়রন লেভোথাইরক্সিনের শোষণ কমাতে পারে। ডোজগুলির মধ্যে অন্তত ৪ ঘণ্টা ব্যবধান রাখুন।
টেট্রাসাইক্লিন ও ফ্লুরোকুইনোলোন
আয়রন এবং জিঙ্ক এই অ্যান্টিবায়োটিকগুলির শোষণ কমাতে পারে। কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে সেবন করুন।
সংরক্ষণ
৩০°C এর নিচে ঠাণ্ডা, শুষ্ক স্থানে, আলো ও আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
মাত্রাতিরিক্ত সেবনের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে গুরুতর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি, বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া এবং গুরুতর ক্ষেত্রে মেটাবলিক অ্যাসিডোসিস, শক এবং অঙ্গের ক্ষতি। গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং সহায়ক চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। গুরুতর আয়রন বিষক্রিয়ার জন্য ডেফেরোক্সামিন-এর মতো আয়রন চিলেটিং এজেন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদানকালে বর্ধিত পুষ্টির চাহিদা মেটাতে এবং অভাব প্রতিরোধ করতে নিরাপদ এবং প্রায়শই সুপারিশ করা হয়। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করুন।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
২৪ মাস
প্রাপ্যতা
বাংলাদেশের সকল ফার্মেসি এবং ওষুধের দোকানে উপলব্ধ
অনুমোদনের অবস্থা
ডিজিডিএ (বাংলাদেশ) দ্বারা অনুমোদিত
পেটেন্ট অবস্থা
পেটেন্টবিহীন
WHO অত্যাবশ্যক ওষুধ
হ্যাঁক্লিনিকাল ট্রায়াল
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলি আয়রন, ফলিক অ্যাসিড এবং জিঙ্ক পরিপূরকের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা প্রমাণ করেছে। 'আইরোফিল-এফজেড' ব্র্যান্ড হিসাবে বাজার অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশে নির্দিষ্ট ট্রায়াল পরিচালিত হয়।
ল্যাব মনিটরিং
- হিমোগ্লোবিন স্তর
- সিরাম ফেরিটিন
- ফলিক অ্যাসিড স্তর
- জিঙ্ক স্তর (যদি অভাব নিরীক্ষণ করা হয়)
ডাক্তারের নোট
- চিকিৎসা শুরু করার আগে অভাবের সঠিক নির্ণয় নিশ্চিত করুন।
- রোগীদের পরিপূরকের পাশাপাশি খাদ্যের উৎস সম্পর্কে পরামর্শ দিন।
- চিকিৎসার প্রতি রোগীর আনুগত্য এবং প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন।
- রোগীদের সম্ভাব্য গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে পরামর্শ দিন।
রোগীর নির্দেশিকা
- আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী সেবন করুন।
- পেটের অস্বস্তি কমাতে খাবারের সাথে গ্রহণ করা উত্তম।
- নির্দেশিত ডোজের বেশি গ্রহণ করবেন না।
- শিশুদের থেকে দূরে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন।
মিসড ডোজের পরামর্শ
যদি একটি ডোজ নিতে ভুলে যান, মনে পড়ার সাথে সাথে তা গ্রহণ করুন। যদি পরবর্তী ডোজের সময় প্রায় হয়ে যায়, তবে ভুলে যাওয়া ডোজটি বাদ দিন এবং নিয়মিত সময়ে আপনার পরবর্তী ডোজটি নিন। ডোজ দ্বিগুণ করবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
আইরোফিল-এফজেড সাধারণত গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি পরিচালনার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- আয়রন, ফোলেট এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।
- পর্যাপ্ত জল পান করুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।