লিথিয়াম-ইআর
জেনেরিক নাম
লিথিয়াম কার্বনেট এক্সটেন্ডেড রিলিজ ৪০০ মি.গ্রা. ট্যাবলেট
প্রস্তুতকারক
নামকরা ফার্মাসিউটিক্যালস
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
মূল্যের বিবরণ
বর্তমান বাজার মূল্যের তথ্য
ভেরিয়েন্ট | একক মূল্য | পাতার মূল্য |
---|---|---|
litiam er 400 mg tablet | ১২.০০৳ | ১২০.০০৳ |
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
লিথিয়াম কার্বনেট হল একটি মুড স্টেবিলাইজার যা প্রধানত বাইপোলার ডিসঅর্ডার (ম্যানিক-ডিপ্রেসিভ ইলনেস) এর পর্বগুলির চিকিৎসা ও প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়। এক্সটেন্ডেড-রিলিজ ফর্মুলেশন কম ঘন ঘন ডোজ করার সুবিধা দেয়।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
কম ডোজ দিয়ে শুরু করা উচিত এবং রক্তে লিথিয়ামের মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কিডনি সমস্যার সম্ভাবনার কারণে।
কিডনি সমস্যা
কিডনির কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে ডোজ উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে এবং লিথিয়ামের মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে বিষাক্ততা এড়াতে।
প্রাপ্তবয়স্ক
প্রাথমিক ডোজ সাধারণত প্রতিদিন ৪০০-১২০০ মি.গ্রা., ১-৩টি বিভক্ত ডোজে। রক্তে লিথিয়ামের মাত্রা ০.৬-১.২ mEq/L বজায় রাখার জন্য ডোজ সামঞ্জস্য করা হয়।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
খাবার পর প্রচুর পানি সহ ট্যাবলেটটি সেবন করুন। এক্সটেন্ডেড-রিলিজ ট্যাবলেট ভাঙ্গা, চূর্ণ করা বা চিবানো যাবে না।
কার্যপ্রণালী
লিথিয়ামের সঠিক কার্যপদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায় না, তবে এটি মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার (যেমন সেরোটোনিন, নরপাইনফ্রিন, ডোপামিন) এবং ইন্ট্রা সেলুলার সিগনালিং পাথওয়েতে প্রভাব ফেলে বলে মনে করা হয়। এটি স্নায়ুকোষের কার্যকারিতা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট থেকে সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয়। এক্সটেন্ডেড-রিলিজ ফর্মুলেশন ধীরে ধীরে শোষিত হয়।
নিঃসরণ
প্রধানত কিডনি দ্বারা মূত্রের মাধ্যমে অপরিবর্তিত অবস্থায় নিঃসৃত হয়।
হাফ-লাইফ
১৮-৩৬ ঘণ্টা (কিডনির কার্যকারিতার উপর নির্ভরশীল)।
মেটাবলিজম
মানুষের শরীরে মেটাবলাইজড হয় না।
কার্য শুরু
থেরাপিউটিক প্রভাব দেখা দিতে ১-২ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- গুরুতর রেনাল বা কার্ডিওভাসকুলার রোগ।
- গুরুতর ডিহাইড্রেশন বা সোডিয়ামের ঘাটতি।
- ব্রমির সিন্ড্রোম (বা পারিবারিক ইতিহাস)।
- প্রথম ট্রাইমিস্টারের গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদান।
- লিথিয়ামের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
নিউরোলেপটিকস
নিউরোলেপটিক ম্যালিগন্যান্ট সিন্ড্রোমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে (বিরল ক্ষেত্রে যখন নিউরোলেপটিকসের সাথে ব্যবহার করা হয়)।
SSRIs (সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটরস)
সেরোটোনিন সিন্ড্রোমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকারস (যেমন ভেরাপামিল)
লিথিয়ামের বিষাক্ততার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
থিয়াজাইড ডাইউরেটিকস, NSAIDs (যেমন আইবুপ্রোফেন), ACE ইনহিবিটরস
লিথিয়ামের রক্তে মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, বিষাক্ততার ঝুঁকি বাড়ায়।
সংরক্ষণ
৩০°C এর নিচে শুকনো জায়গায় এবং আলো থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, হাত কাঁপা, পেশী দুর্বলতা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, সমন্বয়হীনতা (অ্যাটাক্সিয়া), বিভ্রান্তি, খিঁচুনি এবং কোমা। ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে লিথিয়াম গ্রহণ বন্ধ করা, গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ, অন্ত্রের ডিটক্সিফিকেশন এবং ডাইউরেসিস ও পর্যাপ্ত হাইড্রেশনের মাধ্যমে কিডনির মাধ্যমে লিথিয়ামের নিঃসরণ বৃদ্ধি করা। গুরুতর ক্ষেত্রে হেমোডায়ালাইসিস কার্যকর।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থা: প্রথম ট্রাইমিস্টারে ব্যবহারে জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি (বিশেষ করে এবস্টাইনের অসঙ্গতি) থাকে। গর্ভাবস্থায় এর ব্যবহার সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ আবশ্যক। স্তন্যদান: লিথিয়াম বুকের দুধের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এটি সাধারণত ব্যবহার করা উচিত নয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- গুরুতর রেনাল বা কার্ডিওভাসকুলার রোগ।
- গুরুতর ডিহাইড্রেশন বা সোডিয়ামের ঘাটতি।
- ব্রমির সিন্ড্রোম (বা পারিবারিক ইতিহাস)।
- প্রথম ট্রাইমিস্টারের গর্ভাবস্থা এবং স্তন্যদান।
- লিথিয়ামের প্রতি অতিসংবেদনশীলতা।
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
নিউরোলেপটিকস
নিউরোলেপটিক ম্যালিগন্যান্ট সিন্ড্রোমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে (বিরল ক্ষেত্রে যখন নিউরোলেপটিকসের সাথে ব্যবহার করা হয়)।
SSRIs (সিলেক্টিভ সেরোটোনিন রিআপটেক ইনহিবিটরস)
সেরোটোনিন সিন্ড্রোমের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকারস (যেমন ভেরাপামিল)
লিথিয়ামের বিষাক্ততার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
থিয়াজাইড ডাইউরেটিকস, NSAIDs (যেমন আইবুপ্রোফেন), ACE ইনহিবিটরস
লিথিয়ামের রক্তে মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, বিষাক্ততার ঝুঁকি বাড়ায়।
সংরক্ষণ
৩০°C এর নিচে শুকনো জায়গায় এবং আলো থেকে দূরে সংরক্ষণ করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, ডায়রিয়া, হাত কাঁপা, পেশী দুর্বলতা, তন্দ্রাচ্ছন্নতা, সমন্বয়হীনতা (অ্যাটাক্সিয়া), বিভ্রান্তি, খিঁচুনি এবং কোমা। ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে লিথিয়াম গ্রহণ বন্ধ করা, গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ, অন্ত্রের ডিটক্সিফিকেশন এবং ডাইউরেসিস ও পর্যাপ্ত হাইড্রেশনের মাধ্যমে কিডনির মাধ্যমে লিথিয়ামের নিঃসরণ বৃদ্ধি করা। গুরুতর ক্ষেত্রে হেমোডায়ালাইসিস কার্যকর।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থা: প্রথম ট্রাইমিস্টারে ব্যবহারে জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি (বিশেষ করে এবস্টাইনের অসঙ্গতি) থাকে। গর্ভাবস্থায় এর ব্যবহার সতর্কতার সাথে বিবেচনা করা উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ আবশ্যক। স্তন্যদান: লিথিয়াম বুকের দুধের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে এটি সাধারণত ব্যবহার করা উচিত নয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
২৪ মাস
প্রাপ্যতা
ফার্মেসী, হাসপাতাল
অনুমোদনের অবস্থা
অনুমোদনপ্রাপ্ত
পেটেন্ট অবস্থা
জেনেরিক উপলব্ধ
WHO অত্যাবশ্যক ওষুধ
হ্যাঁক্লিনিকাল ট্রায়াল
লিথিয়ামের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন জনগোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠিত নির্দেশনার বাইরে নতুন প্রয়োগের জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে।
ল্যাব মনিটরিং
- থেরাপিউটিক রক্তে লিথিয়াম মাত্রা (প্রাথমিকভাবে সাপ্তাহিক, তারপর প্রতি ১-৩ মাস অন্তর)।
- রেনাল ফাংশন টেস্ট (ক্রিয়েটিনিন, BUN, GFR)।
- থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট (TSH, T3, T4)।
- ইলেক্ট্রোলাইট মাত্রা।
- ইসিজি (বিশেষ করে বয়স্ক রোগী বা কার্ডিয়াক ঝুঁকিযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে)।
ডাক্তারের নোট
- সংকীর্ণ থেরাপিউটিক ইন্ডেক্স এবং নিয়মিত রক্তে লিথিয়াম মাত্রা পর্যবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিন।
- রোগীদের নিয়মিত তরল এবং সোডিয়াম গ্রহণের গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত করুন।
- বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় নিয়মিত রেনাল এবং থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট নিরীক্ষণ করুন।
- লিথিয়ামের বিষাক্ততার লক্ষণগুলির জন্য সতর্ক থাকুন এবং রোগীদের কখন তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন তা সম্পর্কে পরামর্শ দিন।
রোগীর নির্দেশিকা
- ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করুন।
- নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করান যাতে লিথিয়ামের মাত্রা সঠিক থাকে।
- যথেষ্ট পরিমাণে তরল পান করুন এবং সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ স্থিতিশীল রাখুন।
- হঠাৎ ডায়েট পরিবর্তন বা অতিরিক্ত ঘাম (যেমন কঠোর ব্যায়াম বা অসুস্থতা) হলে ডাক্তারকে জানান।
- চিকিৎসা চলাকালীন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো ঔষধ সেবন করবেন না।
মিসড ডোজের পরামর্শ
একটি ডোজ মিস হলে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা গ্রহণ করুন। যদি পরবর্তী ডোজের সময় কাছাকাছি হয়, তবে মিস করা ডোজটি বাদ দিন এবং আপনার নিয়মিত সময়সূচী অনুসরণ করুন। একসাথে দুটি ডোজ গ্রহণ করবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
লিথিয়াম তন্দ্রাচ্ছন্নতা, মাথা ঘোরা বা পেশী দুর্বলতা ঘটাতে পারে। তাই গাড়ি চালানো বা ভারী যন্ত্রপাতি চালানো থেকে বিরত থাকুন যতক্ষণ না আপনি নিশ্চিত হন যে এটি আপনাকে কীভাবে প্রভাবিত করে।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- পানি বা অন্যান্য তরল পর্যাপ্ত পরিমাণে পান করুন (প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস)।
- আপনার খাদ্যে সোডিয়ামের পরিমাণ স্থিতিশীল রাখুন। হঠাৎ করে সোডিয়ামের পরিমাণ কমানো বা বাড়ানো এড়িয়ে চলুন।
- ডিহাইড্রেশন এড়াতে কঠোর শারীরিক কার্যকলাপ বা অত্যধিক তাপ থেকে দূরে থাকুন।
- ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।