ন্যাসফেন-টিআর
জেনেরিক নাম
নিমেসুলাইড (টাইমড রিলিজ) ১০০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল
প্রস্তুতকারক
রেনাটা লিমিটেড
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
মূল্যের বিবরণ
বর্তমান বাজার মূল্যের তথ্য
| ভেরিয়েন্ট | একক মূল্য | পাতার মূল্য |
|---|---|---|
| nasfen tr 100 mg capsule | ২.৫০৳ | ২৫.০০৳ |
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
ন্যাসফেন-টিআর ১০০ মি.গ্রা. ক্যাপসুল নিমেসুলাইড ধারণ করে, যা একটি নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ (এনএসএআইডি) এবং এটি ব্যথা ও প্রদাহ উপশমে ব্যবহৃত হয়। 'টিআর' দ্বারা টাইমড রিলিজ ফর্মুলেশন বোঝায়, যা দীর্ঘস্থায়ী ক্রিয়া প্রদান করে।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
সতর্কতার সাথে এবং সর্বনিম্ন কার্যকর ডোজে ব্যবহার করুন। রেনাল ও হেপাটিক কার্যকারিতার উপর ভিত্তি করে ডোজ সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে।
কিডনি সমস্যা
গুরুতর কিডনি সমস্যায় প্রতিনির্দেশিত। মাঝারি সমস্যায়, সর্বনিম্ন ডোজ দিয়ে শুরু করুন এবং কিডনি কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ করুন।
প্রাপ্তবয়স্ক
১০০ মি.গ্রা. দিনে একবার (টাইমড রিলিজ ফর্মুলেশনের জন্য)। কিছু ক্ষেত্রে, ১০০ মি.গ্রা. দিনে দুবার নির্ধারিত হতে পারে, তবে সাধারণত, টিআর এর কারণে দিনে একবারই যথেষ্ট।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
মৌখিকভাবে সেবন করুন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি কমাতে খাবারের পর এক গ্লাস জল দিয়ে সেবন করা ভালো। ক্যাপসুলটি চূর্ণ বা চিবিয়ে খাবেন না; আস্ত গিলে ফেলুন।
কার্যপ্রণালী
নিমেসুলাইড প্রধানত সাইক্লোঅক্সিজিনেজ-২ (COX-2) এর একটি সিলেক্টিভ ইনহিবিটর হিসাবে কাজ করে, যা প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সংশ্লেষণের সাথে জড়িত একটি এনজাইম। COX-2 কে বাধা দিয়ে, এটি প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা ব্যথা, প্রদাহ এবং জ্বরের মধ্যস্থতাকারী, যার ফলে এর ব্যথানাশক, প্রদাহরোধী এবং জ্বররোধী প্রভাব প্রকাশ পায়।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
মৌখিকভাবে ভালোভাবে শোষিত হয়। টিআর ফর্মুলেশনের জন্য সর্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্ব বিলম্বিত হয়, সাধারণত ডোজের ৪-৮ ঘন্টা পরে ঘটে, যা দীর্ঘস্থায়ী রিলিজ সরবরাহ করে।
নিঃসরণ
ডোজের প্রায় ৬৫% প্রস্রাবের মাধ্যমে এবং ৩৫% মলের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়।
হাফ-লাইফ
মূল ড্রাগের হাফ-লাইফ প্রায় ২-৫ ঘন্টা, তবে দীর্ঘস্থায়ী রিলিজ ফর্মুলেশন এর ক্রিয়াকাল বাড়ায়।
মেটাবলিজম
প্রধানত CYP2C9 দ্বারা যকৃতে ব্যাপকভাবে মেটাবলাইজড হয়, এর প্রধান সক্রিয় মেটাবলাইট, ৪'-হাইড্রক্সিনিমেসুলাইড-এ রূপান্তরিত হয়।
কার্য শুরু
ব্যথানাশক প্রভাব সাধারণত ৩০-৬০ মিনিটের মধ্যে শুরু হয়, এবং সম্পূর্ণ প্রদাহরোধী প্রভাব কয়েক দিনের মধ্যে বিকশিত হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- পূর্ববর্তী এনএসএআইডি চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত, আলসারেশন বা পারফোরেশনের ইতিহাস
- সক্রিয় পেপটিক আলসারেশন/রক্তক্ষরণ
- গুরুতর হেপাটিক বৈকল্য বা সক্রিয় লিভার রোগ
- গুরুতর রেনাল বৈকল্য (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স < ৩০ মি.লি./মিনিট)
- গুরুতর হার্ট ফেইলিউর
- গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিক
- নিমেসুলাইড বা অন্যান্য এনএসএআইডিগুলির প্রতি পরিচিত অতিসংবেদনশীলতা
- ১২ বছরের কম বয়সী শিশু
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
লিথিয়াম
প্লাজমা লিথিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারে।
মেথোট্রেক্সেট
মেথোট্রেক্সেটের বিষাক্ততা বাড়াতে পারে।
সাইক্লোস্পোরিন
নেফ্রোটক্সিসিটি বাড়াতে পারে।
ডাইউরেটিকস এবং এসিই ইনহিবিটরস
অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ প্রভাব কমাতে পারে এবং কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টস (যেমন, ওয়ারফারিন)
রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
অন্যান্য এনএসএআইডি বা কর্টিকোস্টেরয়েডস
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল প্রতিকূল প্রভাবের ঝুঁকি বৃদ্ধি।
সংরক্ষণ
৩০°সে তাপমাত্রার নিচে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
লক্ষণগুলির মধ্যে অলসতা, তন্দ্রা, বমি বমি ভাব, বমি, এপিগ্যাস্ট্রিক ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কদাচিৎ, উচ্চ রক্তচাপ, তীব্র রেনাল ফেইলিউর, শ্বাসযন্ত্রের বিষণ্ণতা এবং কোমা হতে পারে। ব্যবস্থাপনা মূলত সহায়ক এবং লক্ষণভিত্তিক। সেবনের প্রথম এক ঘন্টার মধ্যে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং অ্যাক্টিভেটেড কাঠকয়লা বিবেচনা করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ক্যাটাগরি সি এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ক্যাটাগরি ডি (ভ্রূণের ডাক্টাস আর্টেরিওসাসের অকাল বন্ধের ঝুঁকির কারণে)। স্তন্যদানকালে সুপারিশ করা হয় না কারণ নিমেসুলাইড বুকের দুধে নিঃসৃত হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- পূর্ববর্তী এনএসএআইডি চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত, আলসারেশন বা পারফোরেশনের ইতিহাস
- সক্রিয় পেপটিক আলসারেশন/রক্তক্ষরণ
- গুরুতর হেপাটিক বৈকল্য বা সক্রিয় লিভার রোগ
- গুরুতর রেনাল বৈকল্য (ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স < ৩০ মি.লি./মিনিট)
- গুরুতর হার্ট ফেইলিউর
- গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিক
- নিমেসুলাইড বা অন্যান্য এনএসএআইডিগুলির প্রতি পরিচিত অতিসংবেদনশীলতা
- ১২ বছরের কম বয়সী শিশু
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
লিথিয়াম
প্লাজমা লিথিয়ামের মাত্রা বাড়াতে পারে।
মেথোট্রেক্সেট
মেথোট্রেক্সেটের বিষাক্ততা বাড়াতে পারে।
সাইক্লোস্পোরিন
নেফ্রোটক্সিসিটি বাড়াতে পারে।
ডাইউরেটিকস এবং এসিই ইনহিবিটরস
অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ প্রভাব কমাতে পারে এবং কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
অ্যান্টিকোয়াগুলেন্টস (যেমন, ওয়ারফারিন)
রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
অন্যান্য এনএসএআইডি বা কর্টিকোস্টেরয়েডস
গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল প্রতিকূল প্রভাবের ঝুঁকি বৃদ্ধি।
সংরক্ষণ
৩০°সে তাপমাত্রার নিচে, ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
লক্ষণগুলির মধ্যে অলসতা, তন্দ্রা, বমি বমি ভাব, বমি, এপিগ্যাস্ট্রিক ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। কদাচিৎ, উচ্চ রক্তচাপ, তীব্র রেনাল ফেইলিউর, শ্বাসযন্ত্রের বিষণ্ণতা এবং কোমা হতে পারে। ব্যবস্থাপনা মূলত সহায়ক এবং লক্ষণভিত্তিক। সেবনের প্রথম এক ঘন্টার মধ্যে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ এবং অ্যাক্টিভেটেড কাঠকয়লা বিবেচনা করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে ক্যাটাগরি সি এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ক্যাটাগরি ডি (ভ্রূণের ডাক্টাস আর্টেরিওসাসের অকাল বন্ধের ঝুঁকির কারণে)। স্তন্যদানকালে সুপারিশ করা হয় না কারণ নিমেসুলাইড বুকের দুধে নিঃসৃত হয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
সাধারণত উৎপাদন তারিখ থেকে ২৪ থেকে ৩৬ মাস, বিস্তারিত জানার জন্য নির্দিষ্ট প্যাকেজিং দেখুন।
প্রাপ্যতা
বাংলাদেশের ফার্মেসিতে
অনুমোদনের অবস্থা
ডিজিডিএ (বাংলাদেশ) দ্বারা অনুমোদিত
পেটেন্ট অবস্থা
পেটেন্টমুক্ত
ক্লিনিকাল ট্রায়াল
যদিও নিমেসুলাইড ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করা হয়েছে, 'ন্যাসফেন-টিআর' এর জন্য নির্দিষ্ট ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তথ্য রেনাটার নিজস্ব হবে। সাধারণ নিমেসুলাইড ট্রায়ালগুলি ব্যথা/প্রদাহে কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা প্রোফাইলের উপর, বিশেষ করে হেপাটোটক্সিসিটি সম্পর্কিত, মনোযোগ দেয়।
ল্যাব মনিটরিং
- লিভার ফাংশন পরীক্ষা (ALT, AST, বিলিরুবিন) - পর্যায়ক্রমে, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় বা লিভারের কর্মহীনতার লক্ষণ দেখা দিলে।
- কিডনি ফাংশন পরীক্ষা (ক্রিয়েটিনিন, BUN) - বিশেষ করে পূর্ব বিদ্যমান কিডনি সমস্যাযুক্ত রোগীদের বা যারা ডাইউরেটিকস সেবন করছেন।
- কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (সিবিসি) - পর্যায়ক্রমে রক্তশূন্যতা বা অন্যান্য হেমাটোলজিক্যাল প্রভাব পরীক্ষা করার জন্য।
- মল গুপ্ত রক্ত পরীক্ষা - যদি জিআই রক্তপাতের সন্দেহ হয়।
ডাক্তারের নোট
- হেপাটোটক্সিসিটির উদ্বেগের কারণে নিমেসুলাইডের জন্য সংক্ষিপ্ততম সময়কাল এবং সর্বনিম্ন কার্যকর ডোজের উপর জোর দিন।
- রোগীদেরকে অবিলম্বে জন্ডিস, গাঢ় প্রস্রাব বা উপরের পেটে ব্যথার কোনো লক্ষণ জানানোর পরামর্শ দিন।
- উচ্চ কার্ডিওভাসকুলার বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ঝুঁকিযুক্ত রোগীদের জন্য বিকল্প এনএসএআইডি বা ব্যথানাশক বিবেচনা করুন।
রোগীর নির্দেশিকা
- আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী সঠিকভাবে গ্রহণ করুন। প্রস্তাবিত ডোজ বা চিকিৎসার সময়কাল অতিক্রম করবেন না।
- লিভারের সমস্যার কোনো লক্ষণ (যেমন, অস্বাভাবিক ক্লান্তি, গাঢ় প্রস্রাব, ত্বক/চোখ হলুদ হওয়া, পেটে ব্যথা) দেখা দিলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারকে জানান।
- অন্যান্য এনএসএআইডিগুলির সাথে একসাথে ব্যবহার পরিহার করুন।
- যদি আপনার পেটের কোনো সমস্যা হয়, তবে ক্যাপসুলটি খাবার বা দুধের সাথে গ্রহণ করুন।
- ক্যাপসুলটি চূর্ণ, চিবিয়ে বা ভাঙবেন না, এটি আস্ত গিলে ফেলুন।
মিসড ডোজের পরামর্শ
যদি আপনি একটি ডোজ নিতে ভুলে যান, মনে পড়ার সাথে সাথে তা গ্রহণ করুন। তবে, যদি আপনার পরবর্তী ডোজের প্রায় সময় হয়ে যায়, তবে মিস করা ডোজটি বাদ দিন এবং আপনার নিয়মিত ডোজের সময়সূচী অনুসরণ করুন। ডোজ দ্বিগুণ করবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
নিমেসুলাইড কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে মাথা ঘোরা বা তন্দ্রা সৃষ্টি করতে পারে। যদি আপনি এই প্রভাবগুলি অনুভব করেন, তবে গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি চালানো এড়িয়ে চলুন।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- নিমেসুলাইড দিয়ে চিকিৎসার সময় অ্যালকোহল সেবন পরিহার করুন, বিশেষ করে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং লিভারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কমাতে।
- পর্যাপ্ত জল পান করুন।
- মাস্কুলোস্কেলিটাল ব্যথার জন্য, আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা ব্যায়াম বা ফিজিওথেরাপি অন্তর্ভুক্ত করার কথা বিবেচনা করুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।