পার্টিলোস প্লাস
জেনেরিক নাম
এসিক্লোফেনাক + প্যারাসিটামল
প্রস্তুতকারক
স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি.
দেশ
বাংলাদেশ
Loading images...
বর্ণনা
ওষুধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পার্টিলোস প্লাস হল এসিক্লোফেনাক এবং প্যারাসিটামল এর একটি সম্মিলিত ঔষধ, যা বিভিন্ন পেশী-কঙ্কালের অবস্থা, জ্বর এবং অন্যান্য বেদনাদায়ক অবস্থার সাথে যুক্ত ব্যথা ও প্রদাহ উপশমে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহার ও নির্দেশনা
ডোজ
বয়স্ক রোগী
সাধারণত নির্দিষ্ট ডোজ সমন্বয়ের প্রয়োজন হয় না, তবে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। সর্বনিম্ন কার্যকর ডোজ স্বল্পতম সময়ের জন্য ব্যবহার করা উচিত।
কিডনি সমস্যা
সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন। হালকা থেকে মাঝারি কিডনি সমস্যাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে ডোজ কমানো প্রয়োজন হতে পারে। গুরুতর কিডনি সমস্যায় এড়িয়ে চলুন।
প্রাপ্তবয়স্ক
প্রতিদিন দুটি ট্যাবলেট খাবার পর।
কীভাবে গ্রহণ করবেন
মৌখিকভাবে গ্রহণ করুন, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অস্বস্তি কমাতে খাবারের পর গ্রহণ করা উত্তম। ট্যাবলেট চিবিয়ে বা গুঁড়ো করে খাবেন না।
কার্যপ্রণালী
এসিক্লোফেনাক সাইক্লোঅক্সিজিনেজ (সিওএক্স) এনজাইমগুলিকে বাধা দিয়ে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সংশ্লেষণকে বাধা দেয়, যার ফলে প্রদাহ, ব্যথা এবং জ্বর কমে। প্যারাসিটামল প্রধানত কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন সংশ্লেষণকে বাধা দিয়ে ব্যথানাশক এবং জ্বররোধী প্রভাব প্রদান করে।
ফার্মাকোকাইনেটিক্স
শোষণ
মৌখিকভাবে সেবনের পর এসিক্লোফেনাক এবং প্যারাসিটামল উভয়ই গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট থেকে দ্রুত এবং ভালোভাবে শোষিত হয়। এসিক্লোফেনাকের সর্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্ব প্রায় ১.২৫ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে এবং প্যারাসিটামলের ০.৫ থেকে ২ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছায়।
নিঃসরণ
উভয়ই প্রধানত মূত্রের মাধ্যমে, মূলত মেটাবোলাইট হিসাবে নির্গত হয়।
হাফ-লাইফ
এসিক্লোফেনাকের নির্মূল হাফ-লাইফ প্রায় ৪-৪.৩ ঘন্টা। প্যারাসিটামলের নির্মূল হাফ-লাইফ প্রায় ২-৩ ঘন্টা।
মেটাবলিজম
এসিক্লোফেনাক প্রধানত লিভারে ব্যাপক বিপাক হয়, মূলত CYP2C9 দ্বারা। প্যারাসিটামল প্রধানত গ্লুকুরোনাইডেশন এবং সালফেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লিভারে বিপাক হয়, যার একটি ছোট অংশ CYP এনজাইম দ্বারা বিপাক হয়।
কার্য শুরু
ব্যথানাশক প্রভাব সাধারণত ৩০-৬০ মিনিটের মধ্যে শুরু হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- এসিক্লোফেনাক, প্যারাসিটামল বা ফর্মুলেশনের কোনো উপাদানের প্রতি পরিচিত অতিসংবেদনশীলতা
- সক্রিয় পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত
- এনএসএআইডি-প্ররোচিত হাঁপানি, আমবাত বা অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস
- গুরুতর যকৃত বা কিডনি অকার্যকরতা
- গুরুতর হৃদরোগ
- গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিক
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
লিথিয়াম
লিথিয়ামের প্লাজমা মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
অ্যালকোহল
প্যারাসিটামল এর সাথে যকৃতের ক্ষতির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
মেথোট্রেক্সেট
মেথোট্রেক্সেটের প্লাজমা মাত্রা এবং বিষাক্ততা বৃদ্ধি পায়।
এসিই ইনহিবিটর এবং ডাইউরেটিকস
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রভাব কমে যায় এবং কিডনি অকার্যকরতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
সাইক্লোস্পোরিন এবং ট্যাক্রোলিমাস
নেফ্রোটক্সিসিটির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
ওয়ারফারিন এবং অন্যান্য অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট
রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
সংরক্ষণ
৩০°C এর নিচে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা, তন্দ্রা, মাথা ঘোরা, টিনিটাস। প্যারাসিটামল এর অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষেত্রে গুরুতর হেপাটোটক্সিসিটি হতে পারে। ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে সাম্প্রতিক সেবনের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ বা সক্রিয় কাঠকয়লা, এরপর সহায়ক যত্ন। প্যারাসিটামল এর অতিরিক্ত মাত্রার জন্য এন-অ্যাসিটাইলসিস্টেইন নির্দেশিত।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভ্রূণের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে সম্ভাব্য প্রতিকূল প্রভাবের কারণে এটি সুপারিশ করা হয় না। প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে শুধুমাত্র তখনই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন যদি সম্ভাব্য সুবিধা ঝুঁকির চেয়ে বেশি হয়। স্তন্যদানকালে এড়িয়ে চলুন কারণ উভয় উপাদানই বুকের দুধে নিঃসৃত হয়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিনির্দেশনা
- এসিক্লোফেনাক, প্যারাসিটামল বা ফর্মুলেশনের কোনো উপাদানের প্রতি পরিচিত অতিসংবেদনশীলতা
- সক্রিয় পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল রক্তপাত
- এনএসএআইডি-প্ররোচিত হাঁপানি, আমবাত বা অ্যালার্জির মতো প্রতিক্রিয়ার ইতিহাস
- গুরুতর যকৃত বা কিডনি অকার্যকরতা
- গুরুতর হৃদরোগ
- গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিক
ওষুধের মিথস্ক্রিয়া
লিথিয়াম
লিথিয়ামের প্লাজমা মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
অ্যালকোহল
প্যারাসিটামল এর সাথে যকৃতের ক্ষতির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
মেথোট্রেক্সেট
মেথোট্রেক্সেটের প্লাজমা মাত্রা এবং বিষাক্ততা বৃদ্ধি পায়।
এসিই ইনহিবিটর এবং ডাইউরেটিকস
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর প্রভাব কমে যায় এবং কিডনি অকার্যকরতার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
সাইক্লোস্পোরিন এবং ট্যাক্রোলিমাস
নেফ্রোটক্সিসিটির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
ওয়ারফারিন এবং অন্যান্য অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট
রক্তপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
সংরক্ষণ
৩০°C এর নিচে ঠাণ্ডা ও শুষ্ক স্থানে সংরক্ষণ করুন। আলো ও আর্দ্রতা থেকে রক্ষা করুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
মাত্রাতিরিক্ত
অতিরিক্ত মাত্রার লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, বমি, পেটে ব্যথা, তন্দ্রা, মাথা ঘোরা, টিনিটাস। প্যারাসিটামল এর অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষেত্রে গুরুতর হেপাটোটক্সিসিটি হতে পারে। ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে সাম্প্রতিক সেবনের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ বা সক্রিয় কাঠকয়লা, এরপর সহায়ক যত্ন। প্যারাসিটামল এর অতিরিক্ত মাত্রার জন্য এন-অ্যাসিটাইলসিস্টেইন নির্দেশিত।
গর্ভাবস্থা ও স্তন্যদান
গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ভ্রূণের কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে সম্ভাব্য প্রতিকূল প্রভাবের কারণে এটি সুপারিশ করা হয় না। প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে শুধুমাত্র তখনই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করুন যদি সম্ভাব্য সুবিধা ঝুঁকির চেয়ে বেশি হয়। স্তন্যদানকালে এড়িয়ে চলুন কারণ উভয় উপাদানই বুকের দুধে নিঃসৃত হয়।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এই ওষুধ সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্যাক সাইজ
মেয়াদ
উত্পাদনের তারিখ থেকে ২-৩ বছর।
প্রাপ্যতা
ফার্মেসী এবং হাসপাতালে পাওয়া যায়
অনুমোদনের অবস্থা
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত (যেমন: বাংলাদেশে ডিজিডিএ)
পেটেন্ট অবস্থা
পেটেন্টমুক্ত (সাধারণ উপাদানের জন্য)
ক্লিনিকাল ট্রায়াল
ব্যথা ও প্রদাহ ব্যবস্থাপনায় এসিক্লোফেনাক এবং প্যারাসিটামল এর সম্মিলিত কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা ব্যাপক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিপণন-পরবর্তী নজরদারি নিরাপত্তা প্রোফাইল নিরীক্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
ল্যাব মনিটরিং
- বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় বা পূর্ব-বিদ্যমান অসুস্থতাযুক্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কিডনি ফাংশন (সিরাম ক্রিয়েটিনিন, BUN) এবং লিভার ফাংশন টেস্ট (ALT, AST) নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ রক্ত গণনা (CBC) পর্যায়ক্রমে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
ডাক্তারের নোট
- জিআই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে রোগীদের খাবারের সাথে ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিন।
- দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসায় থাকা রোগীদের যকৃত ও কিডনি ফাংশন পর্যবেক্ষণ করুন।
- সম্ভাব্য ঔষধের মিথস্ক্রিয়া, বিশেষ করে অ্যান্টিকোয়াগুল্যান্ট এবং অন্যান্য এনএসএআইডি এর সাথে সতর্ক থাকুন।
রোগীর নির্দেশিকা
- আপনার ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন।
- নির্দেশিত ডোজের বেশি গ্রহণ করবেন না।
- পেটের অস্বস্তি কমাতে খাবারের সাথে গ্রহণ করুন।
- কোনো অস্বাভাবিক রক্তপাত, ক্রমাগত পেটে ব্যথা, কালো মল বা গুরুতর অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারকে জানান।
মিসড ডোজের পরামর্শ
যদি আপনি একটি ডোজ নিতে ভুলে যান, তবে মনে পড়ার সাথে সাথে তা গ্রহণ করুন। তবে, যদি আপনার পরবর্তী ডোজের প্রায় সময় হয়ে যায়, তবে মিস করা ডোজটি বাদ দিন এবং আপনার নিয়মিত ডোজের সময়সূচী চালিয়ে যান। একটি বাদ পড়া ডোজ পূরণের জন্য দ্বিগুণ ডোজ গ্রহণ করবেন না।
গাড়ি চালানোর সতর্কতা
মাথা ঘোরা বা তন্দ্রা হতে পারে। রোগীরা গাড়ি চালানো বা যন্ত্রপাতি পরিচালনার সময় সতর্ক থাকবেন যতক্ষণ না তারা বুঝতে পারছেন ঔষধটি তাদের উপর কিভাবে প্রভাব ফেলে।
জীবনযাত্রার পরামর্শ
- এই ঔষধ সেবনের সময় অ্যালকোহল গ্রহণ পরিহার করুন।
- সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং পর্যাপ্ত জল পান করুন।
বাংলাদেশে বিকল্প ওষুধ
বাজারে পাওয়া যায় এমন অনুরূপ ওষুধ
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড নাম
এই ওষুধের আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড নাম। বিস্তারিত তথ্যের জন্য একটি ব্র্যান্ডে ক্লিক করুন।